নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ক্লাব অডিটরিয়ামে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থী দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া আরো দুজন মেয়র পদপ্রার্থী দুপুর পর্যন্ত তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দুপুরে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র পদে প্রার্থীতার জন্য মোট নয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। ২৭টি ওয়ার্ডে কমিশনার পদে প্রার্থিতার জন্য এক হাজার ৮৮৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন, যার মধ্যে ১০০ জন জমা দিয়েছেন। আর সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৪০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছেন ১৮ জন।
নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবার বেশি জনসমর্থন পাবেন বলে আশা করছেন।
পাশাপাশি বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানও নিজেকে অধিকতর যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করছেন। তবে তিনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আশা করছেন।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। মনোনয়নপত্র যাচাই ও বাছাই করা হবে আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর। নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৪ ডিসেম্বর। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় নির্বাচন।
২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল এ তিনটি পৌরসভা বিলুপ্ত করে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। একই বছর ৩০ অক্টোবর প্রথমবারের মতো সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করে সিটির প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভি। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী যিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে আইভি বিলুপ্ত হওয়া নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।