ভারতের করিমগঞ্জে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক শিল্পপতি ও সিলেটে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি রাগীব আলীকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত। বেলা আড়াইটার দিকে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন চক্রবর্তী জানান, দুপুরে আসামের পুলিশ ও বিএসএফ ভারতে আটক রাগীব আলীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এরপর বিজিবি রাগীব আলীকে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে শিল্পপতি রাগীব আলীকে ভারতের করিমগঞ্জে আটক করে সে দেশের পুলিশ। এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সুজ্ঞান চাকমা জানান, রাগীব আলীর কাছে ভারতে থাকার বৈধ কাগজপত্র ছিল না। এ জন্য আজ সকালে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ এবং প্রতারণার আলোচিত দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলেমেয়েসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ১০ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওই দিনই তিনি সপরিবারে পালিয়ে ভারতে চলে যান।
এরপর রাগীব আলী পলাতক থাকাকালীন সময়েই ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অন্যদিকে প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী, তাঁর ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ ও তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এ মামলার আসামি রাগীব আলীর আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ গত ১০ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার ওপর তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। আশির দশকে এটি দখলে নেন রাগীব আলী। এ নিয়ে চলা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি তারাপুরে রাগীব আলীর দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ