গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালী গ্রামের বসবাসকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলা
উদ্দিন বিনা চিকিৎসায় ভূগছেন। দেখার কেউ নেই।
জানা গেছে উপজেলার বোয়লী গ্রামের মৃত্যু সদর ব্যাপারীর পুত্র আলা উদ্দিন দরিদ্র পরিবারে ১৯৪৭
সালে জন্ম গ্রহন করেন। এরপর ১৯৭১ সালে তিনি ২৪ বছরের তরুন বয়সে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৬নং
সেক্টরে যোগদিয়ে মাতৃভূমিকে পরাধীনতার কবল মুক্ত করে একটি স্বাধীনদেশ গড়ার লক্ষ্যে শত
প্রতিকুলতার মধ্যেও নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশ মাতার ডাকে দেশকে শত্রু মুক্ত করতে
জাপিয়ে পরে পাকিস্থানীদের বিরুদ্ধে। সেই মুক্তি যোদ্ধা আলা আজ জীবন যুদ্ধে পরাজিত। এক
বছরের বেশি সময় ধরে প্যারালাইসেস/পক্ষঘাত রোগে আক্রান্ত হয়ে হুইল চেয়ারে বসে দিনযাপন
করছেন। তিনি অন্যের সাহায্য ছাড়া কোন ধরনের চলাফেরা করতে পারছেন না। মুক্তি যোদ্ধা আলা
ব্যাক্তিগত জীবনে ৫ সন্তানের জনক দরিদ্রে কশাঘাতে জর্জরিত। ফলে তিনি কোন সন্তানকেই
বেশিদুর পর্যন্ত লেখা পড়া করাতে পারেনি। দরিদ্র এই মুক্তি যোদ্ধার ৬ শতাংশ ভিটেমাটি ছাড়া
ফসলি কোন জমিজমা না থাকায় ৪ পুত্র সন্তান সকলেই রিক্সা/ভ্যান চালিয়ে কোন রকমে জীবিকা
নির্বাহ করেন। সন্তানেরা তাদের স্ত্রী-পুত্রদের নিয়ে পৃথক পৃথক ভরণ পোষনে হিমশিম খাচ্ছে। তার
মধ্যে অসুস্থ বাবার চিকিৎসার বিশাল ব্যয় ভার যেন তাদের কাছে আকাশ সমান।
মুক্তিযোদ্ধা আলার সাথে আমাদের প্রতিনিধি নুরুল আলম ডাকুয়ার কথা হলে তিনি জানান-
দেশের জন্য মুক্তি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, ১৯৭১ সালে ৬নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধ কালীন
ঘটনাবলীর বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নাজনিত কন্ঠে জানান দেশকে স্বাধীন করেছি। আজ
আমি এক বছরের বেশি সময় ধরে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে
মরছি। আমার চিকিৎসার জন্য কেহুই এগিয়ে আসছে না, তিনি আরও জানান আমি তো
দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, সেই দেশে আজ আমি অসহায়। তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে একটি বাঁশ ঝাড়ের ভিতর অত্যান্ত শ্যাতশ্যাতে অন্ধকারাছন্ন
অসাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করেন তিনি। বিদ্যুতের সংযোগ না থাকলেও তার ভাগ্যে জোটেনি
সরকারী ভাবে একটি সোলার প্যানেল। মুক্তিযোদ্ধা আলা উদ্দিনের বাড়িতে সরকারী ভাবে
বিদ্যুতের লাইন/ সোলার প্যানেল স্থাপন ও তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন।