কক্সবাজারে কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ২০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব ইয়াবা পাচারে জড়িত সন্দেহে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।
এসব ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি কোস্টগার্ড। তাঁদের বাড়ি মহেশখালী দ্বীপসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায়। ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত মাছ ধরা ট্রলার দুটি জব্দ করেছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাফিউর রহমান বলেন, গতকাল রাতে সেন্টমার্টিনের অদূরে ছেঁড়া দ্বীপসংলগ্ন সাগরে একটি মাছ ধরা ট্রলারকে সন্দেহ হয় কোস্টগার্ডের। এ সময় কোস্টগার্ড ধাওয়া করলে ট্রলার ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। পরে ওই ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে এক লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
আলাদা ঘটনায় ছেঁড়া দ্বীপের দেড় নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে অপর একটি মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান চালায় কোস্টগার্ড। এ সময় ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ওই ট্রলারে থাকা ১৫ পাচারকারীকে আটক করে কোস্টগার্ড।
অন্যদিকে, বিজিবি আলাদা দুটি অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৭০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ৫ নম্বর স্লুইসগেট পয়েন্ট থেকে ২০ হাজার এবং কেরুনতলী পয়েন্ট থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। দুটি অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।