নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, আইভীর পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের বিরুদ্ধেও বিধি ভাঙার অভিযোগ এসেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী সিদ্ধিরগঞ্জে কয়েকটি ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রার্থীকে ঘিরে মিছিল করে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চান।
আর নগরীর সদর এলাকায় দ্বিগুবাবু বাজারে ব্যবসায়ীসহ সাধারণের সঙ্গে পরিচয় পর্বে মিলিত হয় বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তাঁর সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা সাখাওয়াতকে ধানের শীষের প্রার্থী পরিচয় করিয়ে ভোট চান।
তবে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘আমি কোনো প্রচার-প্রচারণার মধ্যে নেই, আমি সমাজের প্রভাবশালীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছি এবং উঠান বৈঠক করছি যা নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সাখাওয়াত বলেন, ‘তিনি নির্বাচন কমিশনের বিধি না মেনে সিদ্ধিরগঞ্জে বিশাল বহর নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন, প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রতীক ব্যবহার করছেন, মাইক ব্যবহার করছেন। সরকারি দল হিসেবে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের আইন তোয়াক্কা করছেন না। নির্বাচন কমিশনও এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
এ ব্যাপারে ডা. আইভীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে তাঁদের মৌখিক সতর্ক করা হবে। এরপরও যদি আচরণবিধি অমান্য করেন তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয় মাসের জেল অথবা উভয় দণ্ড এবং প্রার্থিতা বাতিলেরও বিধান রয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরো বলেন, ৫ ডিসেম্বরের পর ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রয়োজনে সব আইন প্রয়োগ করা হবে।