বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটি অবহেলাজনিত না নাশকতা, গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এ বিষয়ে গঠিত বিভিন্ন তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ রোববার সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানান রাশেদ খান মেনন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়িত্বে অবহেলার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষে কর্মরত ছয়জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের তেলের চাপ কমে যাওয়ার পেছনে মনুষ্যসৃষ্ট (হিউম্যান ফ্যাক্টর) কারণ জড়িত ছিল।’
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর জাতির অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বুদাপেস্ট পানি সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২৭ নভেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান বিজি১০১১ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের প্রায় দুই ঘণ্টা পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বিমানটি তুর্কিমেনিস্তানের আশখাবাদ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে বিমানের ত্রুটি সারানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বুদাপেস্টের উদ্দেশে রওনা হয়ে নিরাপদে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে পৌঁছায়।
এ ছাড়া আজ সংসদে উত্থাপিত ছয়টি বিলের ওপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদন পৃথকভাবে উপস্থাপন করা হয়।