মোঃ রুহুল আমীন, আত্রাই প্রতিনিধি।
নওগাঁর আত্রাইয়ে দিন যতো গড়াচ্ছে ততোই জমজমাট হয়ে উঠছে ঈদের কেনাকাটা। উপজেলা সদর ও ভবানীপুর
বাজার,বান্দাইখাড়া বাজার,নওদুলী বাজার, স্টেশন বাজারে বিপনীবিতান গুলোতেও উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে। সকাল
থেকেই উপজেলা নিউ মার্কেটে সিটি বস্ত্রালয়, সেভেন স্টার শপিং মল, আর কে ফ্যাশন হাউস ও হিমেল গার্মেন্টস,
বাবুমুনি বস্ত্রালয়, ইরানীসহ বিপনী বিতানগুলো ক্রেতা সমাগমে মুখর হয়ে উঠেছে।
বাহারি পোশাক আর নতুন ডিজাইনের পোশাকের পসরা সাজিয়ে দোকানীরা ক্রেতা আর্কষন করছে। তবে দেশী
পোশাকের চেয়ে ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি। এছাড়া পাকিস্থানী কিছু থ্রী-পিস রয়েছে সেগুলোর চাহিদা
রয়েছে। তবে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েদের আকৃষ্ট করে এমন নাম নিয়ে এবারও বাজারে এসেছে আর্কষনীয়
ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ শাট প্যান্ট টি শাট। গৃহিনীদের জন্য পিওর সূতী,সাউথ,কানজিবরন,কাতান
বেনারশী,জামদানী।
মহিলারা কেনাকাটায় আত্রাই বাজারের ঈদ বাজারকে প্রানবন্ত করেছে। তরুনীরা ঝুকছে ভারতীয় বেশ কিছু আইটেমের
দিকে। লেহেঙ্গা, রশমি, নির্জ্ব, পাখি, দুপাট্টা, শেরওয়ানী, তুমি আসবে বলে, পাকিস্তানি কোটি, কিরনমালা,
পাতাবালি তরুনীদেরকে আকৃষ্ট করেছে। তবে গত বছরের মত কিরনমালার মাতামাতি একটু ম্লান হয়েছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানের প্রথম দিকে ছিট কাপড়ের দোকানে ক্রয়-বিক্রয় কম থাকলেও বর্তমানে ছিট
কাপড়ের প্রধান বাজার রহমান সুপার মার্কেট, অভিজাত দোকান ছিট বিতান, অধিকাংশ ছিট কাপড়ের দোকানে
প্রচুর ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে। ক্রেতাদের ভীড় সামাল দিতে অনেক মার্কেটেই দোকানিদের হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
ঈদ মার্কেটে ক্রেতাদের মধ্যে সিংহভাগ নারী। মেয়েরা যাচাই বাছাই করে তবেই তাদের পছন্দের জিনিষটি কিনছেন।
কেইবা ভীড় এড়াতে আগে ভাগেই পছন্দের কাপড় কিনে রাখছেন। পছন্দের পোষাকটি কিনতে ক্রেতারা হন্যে হয়ে ঘুরছে
এ মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে।
ক্রেতা মহসিনা আক্তার,স্বপ্না,পারুল, নাহার,লাকী আক্তার জানায়, আমরা পরিবারের জন্য পোশাক কিনেছি। আত্রাইয়ে
এখন সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। আগে পোশাক আত্রাইয়ের বাহির থেকে কিনতাম। এখন আর পোশাকের জন্য
কেনাকাটা করতে কোথাও যেতে হয়না। পারুল ক্লথ থেকে কাপড় কিনেছি। দামও মোটামুটি। এখানে অনেক
আইটেমের কাপড় সুলভ মুল্যে পাওয়া যায়।
গত বছরের তুলনায় এবছর সব পন্যের দাম বেশী বলে জানান ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, দাম বেশী হলেও
বেচাকেনা ভালই হচ্ছে। তবে কসমেটিক্স ও জুতার দোকানে তুলনামুলক ভাবে ভীড় কম। পাঞ্জাবী-টুপি বিক্রেতারাও এক
রকম চুপচাপ বসে আছেন। এর কারণ হিসাবে দোকানীরা জানালেন কাপড় চোপড় কেনার পর তার সাথে ‘ম্যাচ’ করে
সাজগোজের অলঙ্কার ও কসমেটিক্স ক্রয় করেন ক্রেতারা। তা ছাড়া প্রায় সকলেই জুতা স্যান্ডেল কেনেন সবার শেষে। আর
চাঁদ রাত বা তার দু’একদিন আগে কেনেন পাঞ্জাবী-টুপি। সে কারণে ভিড় একটু কম থাকলেও দু’একদিনের মধ্যেই এ
সব দোকানেও বেচা-কেনা জমে উঠবে। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত এরকম ভিড় থাকবে বলেও তাদের আশাবাদ।