আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (ফুলবাড়ী-
বিরমাপুর) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদকে গত সোমবার (৫
ডিসেম্বর) প্রত্যাহার করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
অভিযোগে জানা যায়, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আব্দুর রাজ্জাক
হজ্বব্রত পালনের জন্য গত ৭আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে থাকাকালীন
উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এর
দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবুল কালাম আজাদ
কর্মরত এলাকার প্রতিটি নতুন সেচ পাম্পে সংযোগ দেয়ার নামে দুই লাখ
টাকা করে উৎকোচ নেন। একই কায়দায় ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ,
পার্বতীপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় শতাধিক সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ
সংযোগ দেয়া হয়।
সরেজমিনে হাকিমপুরের চেংগ্রামে গিয়ে জানা যায়, চেংগ্রামের
২১টি বাড়িতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য প্রত্যেক বাড়ি থেকে ১৫হাজার
টাকা আদায় করেছেন ওই ডিজিএম। এ ঘটনায় ওই গ্রামের জাকিরুল ইসলামর
নামের এক ব্যক্তি এক মাস আগে ডিজিএম আবুল কালাম আজাদের ঘুষ
বানিজ্যের বিষয়ে সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতায়ন
বোর্ডের সহকারি পরিচালক (ডিডি প্রশিক্ষণ) শাহ আলমকে তদন্তের দায়িত্ব
দেয়া হলে তিনি গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে তদন্ত করেন।
সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ ২০০৯
সালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কর্মরত থাকাকালীন গ্রাহকদের ট্রান্সফরমার
চুরির দায়ে গণধোলাইসহ মামলায় হাজতবাসও করেছেন।
এ বিষয়ে ডিজিএম আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার
মুঠোফোন ০১৭৩৪ ৩৬২৩৬৮ নংম্বরে ফোন করা হলে মুঠোফোনটি সুইচ বন্ধ
পাওয়া যায়।
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (ফুলবাড়ী-বিরমাপুর) এর মহাব্যস্থাপক
(জিএম) সন্তোষ কুমার বলেন, ডিজিএম আবুল কালাম আজাদকে প্রত্যাহারের
আদেশ পাওয়ার পরপরই তাকে সমিতি থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।