ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগড় গ্রামের নুর আলম হাওলাদারের রুমা আক্তার (রাবেয়া)। সে বরিশাল
তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির
ছাত্রী। কলেজে যাতায়াতের সময় স্থানীয় দুলাল হাওলাদারের পুত্র সুজন
(২২) ও আঃ ছালাম খাঁ’র পুত্র মাছুম (২৫) প্রায়ই উত্যক্ত করতো।
বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে
অভিযোগ দিলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টার
সময় চাচা আঃ সোবাহান’র বাড়িতে ঈদুল আজহার দাওয়াতে
যাবার সময় ওৎ পেতে সুজন ও মাছুম তার মুখ চেপে ধরে নিয়ে
রাস্তার পার্শ্ববর্তি বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। রাবেয়া
তাতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জখম
করে। এসময় রাবেয়ার ডাক চিৎকারে পথচারীরা ছুটে এলে সুজন ও
মাছুম দৌড়ে পালিয়ে যায়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল
শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি
করায়। এ ব্যাপারে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল
(নং-০১) এ নালিশী অভিযোগ দায়ের করলে আদালত নলছিটি থানার
ওসিকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে ২৬ সেপ্টেম্বর রেকর্ডের
নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন নলছিটি
থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব মিত্র। মগড় ইউনিয়ন
পরিষদে তদন্তের জন্য ডেকে তদন্ত কর্মকর্তা সহায়তা না করে উল্টো
ধমক দিয়ে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করে। টাকা না দিলে
মামলায় কোন কাজ হবে না জানিয়ে তিনি আসামীদের পক্ষ নিয়ে
এখনো গ্রেফতার করেনি। তার কাছে অনেক অনুনয় বিনয় করার
পরেও সে আমাকে খারাপ মেয়ে বলে বিভিন্ন প্রকার কু মন্তব্য করে
এবং কু প্রস্তাব দেয়। আমি গরীব ঘরের মেয়ে বলে কি ন্যায্য
বিচার পাবো না। আমি আমার নির্যাতনের ন্যায্য বিচার চাই।
কান্নায় চোখের পানিতে গাল ভিজিয়ে কলেজ ছাত্রী এসব
অভিযোগ করেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঝালকাঠি
টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব
অভিযোগ করেন। এসময় তার পাশে থাকা মা পারভীন বেগম, চাচা
সোবাহান হাওলাদার ও ফুফু নাজমা বেগমও এসব ঘটনার বর্ণনা
কালে অঝোরে কাঁদতে থাকেন।