নিজস্ব প্রতিবেদক:
২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হওয়ার প্রথম ছুটির দিন ছিল আজ শুক্রবার। এ জন্য সকাল থেকে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দর্শনার্থীর সংখ্যা।
মেলার প্রতিটি স্টলে ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো পণ্য নেড়েচেড়ে দেখেন। পছন্দ হলে কেনেন। আর ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিক্রেতারাও নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। অনেকে মিষ্টি কথা আবার কেউ কেউ দিচ্ছেন মূল্যছাড়সহ নানা রকম অফার। পণ্যের মধ্যে থাকছে ওয়ারেন্টিসহ বিক্রয়োত্তর নানা সেবার নিশ্চয়তা।
স্বর্ণালংকারের স্টলগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন মডেলের তৈরি ঝুমকা, কানের দুল, ডায়মন্ড কাট, লকেট, চেইন, চুড়ি, ব্রেসলেট ও দৃষ্টিনন্দন ফিঙ্গার রিংসহ রংবেরঙের জিনিসপত্র সুন্দর করে ডিসপ্লেতে রাখা। অনেক ক্রেতা সেখানে ভিড় করছেন। সাধ্যের মধ্যে হলে অনেকে তা কিনছেন।
এমনই একজন রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে আসা আকলিমা বলেন, ‘এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় এখনো কিনিনি। তবে বাজেটের মধ্যে পড়লে নেব।’
এ ছাড়া সিটিগোল্ডের স্টলে বাহারি ডিজাইনের অলংকার পাওয়া যাচ্ছে। এসবের দাম ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। আবার ভারী গহনা কিনতে গেলে ওজন অনুযায়ী বাড়ছে দাম। মেলার শুরু থেকে ক্রেতা বাড়াতে বিক্রেতারাও রাখছেন নানা রকম অফার।
এদিকে মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন স্টলে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়। বাণিজ্য মেলার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে দেখা গেছে আগত মানুষের ভিড়। তাঁরা বিভিন্ন তথ্য নিয়ে স্টলগুলো খুঁজে খুঁজে অফার অনুযায়ী পণ্যসামগ্রী কেনার চেষ্টা করছেন।
অনেক দর্শনার্থী ক্লান্ত হয়ে মাঝেমধ্যে মেলার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিভিন্ন ফুলের পার্কগুলোর পাশে বসে বিশ্রাম নেন। অনেকে খাবারের দোকানে ভিড় করেন। এঁদের কেউ কেনাকাটা করেছেন আবার অনেকে করেননি। কারো হাতে একাধিক শপিং ব্যাগ আবার কারো হাত ফাঁকা।
ভিড় ছিল শিশুদের খেলার জন্য বিভিন্ন রাইডেও। এসব রাইডে ছিল বাচ্চাদের হই-হুল্লোড়-মাতামাতি।
শিশির নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছুটির দিন থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এসে কিছু কেনাকাটা করলাম। আর এখন ওদের বিনোদনের সুযোগ দিয়েছি।