ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ- ঝালকাঠিতে টানা ৩ দিন ধরে জেঁকে বসেছে
শীত। সূর্য উঠলেও তাপ তেমন নেই। প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে। শীতের
কারণে নগরীতে যানবাহন ছিল কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হয়নি
কেউ। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে গরিব মানুষ। হাসপাতালগুলোতে
বেড়ে গেছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী। সবচেয়ে বেশি
ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিশু ও শ্রমজীবী মানুষ।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পরিদর্শক প্রণব কুমার রায়
মুঠোফোনে জানান, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে
বরিশাল অঞ্চলে। শনিবার সকালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ৭.০৬
ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া
অফিস। এর আগে শুক্রবার বরিশালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.০২
ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলায় সূর্য উঠলেও তাপ তেমন না
থাকায় শীতের তীব্রতা তেমন কমেনি। তীব্র শীতের কারণে জনজীবন
অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে
কথা বলে জানা যায়, হাড় কাঁপানো শীত তাদের জীবনযাত্রা থমকে
গেছে। কাজকর্মে গতি কমে যাওয়ায় অনেকের রোজগার কমে গেছে।
রিকশাচালক কাশেম আলী বলেন, আগে তিনি ভোরে রিকশা নিয়ে বের
হতেন। শীতের কারণে কয়েকদিনে তা পড়ছে না। অন্যদিকে রিকশায় ঠান্ডা
বেশি লাগায় যাত্রীও কম পাচ্ছেন।
সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত দু’দিনে শীতজনিত রোগে
আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিড় বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও
বয়স্করা। বরিশালের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০১৫ সালে
৬.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০১৬ সালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল
৭.০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পরিদর্শক মো. ইউসুফ এ
প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি
সেলসিয়াসের নীচে নামলে সেই অবস্থাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এ
অবস্থা আরো ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। চলতি মাসের শেষ দিকে
আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন স্থানীয়
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।