ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক নিত্যানন্দপুর গ্রামের ৪ বছরের
শিশু জুবায়ের হত্যা মামলার বাদী নিহত শিশুটির বাবা মধু সর্দার মামলা
গ্রহন না করা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সাক্ষিদের হয়রানীর অভিযোগ করেছেন।
সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মধু সরদার
এ দাবী করেন।
লিখিত বক্তব্যে মধূ সরদার অভিযোগ করেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে
হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক নিত্যানন্দপুর গ্রামের আতিয়ার সর্দার ও তার
সহযোগীরা গত বছরের ৩ নভেম্বর মধু সর্দারের ৪ বছরের ছেলে জুবায়েরকে
অপহরণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। অপহরণের ২ দিন পর ৬ নভেম্বর ওই গ্রামের
একটি পুকুর থেকে শিশু জুবায়েরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মধু সর্দার হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা দিতে গেলে মামলা নিতে
অস্বীকার করে। পরে আদালতে ১১ জনকে আসামী করে মধু সর্দার মামলা দায়ের
করে। মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য
হরিণাকুন্ডু থানার ওসির বিরুদ্ধে নির্দেশ দেয় আদালত। এ নির্দেশ দেওয়ার
পর থেকে বাদীর পরিবারকে বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি
দেয়।
মধু সর্দার অভিযোগ করেন, পুলিশের ছত্রছায়ায় আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে
বেড়াচ্ছে এবং বাদীসহ সাক্ষিগন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। লিখিত অভিযোগে
আরো বলা হয়, আসামীদের হুমকির বিষয়ে থানায় জিডি করতে গেলেও
জিডি গ্রহণ করেনি।
এ ব্যাপারে আসামীদের গ্রেফতার ও দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন মধু সর্দার। মামলাটি হরিণাকুন্ডু
থানার পরিবর্তে অন্য কোন সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের দাবী জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মধু সর্দারের বাবা শরিফুল ইসলাম ও বেড়বিন্নি গ্রামের
খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মাহাতাব
উদ্দীন বলেন, সংবাদ সম্মেলনে মধু সর্দার যে অভিযোগ করেছে তার
সম্পুর্ন্ন মিথ্যা।
তিনি আরো বলেন, মামলার আসামী খায়রুল ও শুকুর আলীকে গ্রেফতার করা
হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, বাদী
ও সাক্ষিদের ভয়ভীতি ও মামলা না নেওয়ার ঘটনাটি সম্পুর্ন বানোয়াট। কারণ
পুলিশ সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও নির্যাতিতদের পাশে রয়েছে।