সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় জলমহাল দখলের ঘটনাকে
কেন্দ্র করে দু-পক্ষের সংঘর্ষে ৩জন নিহত ও ২০ জন আহত
হয়েছে। পুলিশ জানায়,মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলার দিরাই
উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া নদী জলমহাল দখলের
উদ্দেশ্যে হাতিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ কর্মী একরার
হোসেনের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সহকারে তাদের
প্রতিপক্ষ কুলঞ্জ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মাসুক
মিয়ার জলমহালের খলাঘড়ে অতর্কিত হামলা চালায়। আত্ম
রক্ষার্থে মাসুক মিয়ার লোকজন হামলাকারীদের উপর
বন্দুকের গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান হাতিয়া
গ্রামের শান উল্লাহর পুত্র তাজুল ইসলাম (৩৫)। এ ঘটনায়
একই গ্রামের মৃত আমান উল্লাহর পুত্র উজ্জল (৩৫) ও
ইছহাক মিয়ার পুত্র শাহারল (২৬) সহ ২০ব্যক্তি গুরতর আহত হন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে দিরাই উপজেলা
পরবর্তীতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৩টায় চিকিৎসাধীন
অবস্থায় আহত উজ্জল ও শাহারল মারা যান। এলাকাবাসী
জানান,সাবেক ইউপি সদস্য মাসুক মিয়া নাগেরগাও
মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক ধনঞ্জয়
দাসের নামে ইজারা নিয়ে ভাগীদার হিসেবে জারলিয়া নদী
জলমহালটি ভোগদখল করছিলেন। কিন্তু ভোগদখলের
একপর্যায়ে হাতিয়া গ্রামের একরার হোসেনের
নেতৃত্বে প্রতিপক্ষরা তাদের জলমহালটি জোরপূর্বক দখলে
নেয়ার লক্ষ্যে খলাঘড়ে হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা
ঘটে। দিরাই থানার ওসি আব্দুল জলিল এ ঘটনার সত্যতা
নিশ্চিত করে বলেন,পুলিশ ঘটনাস্থলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার
দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।