নীলফামারীর ডিমলায় যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকে উঠে আবু বক্কর(৩৫) নামের এক চালককে কুপিয়ে উক্ত ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় চালক বর্তমানে গুরুত্বর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎস্বাধীন রয়েছেন।
তিনি ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের রুপাহারা গ্রামের মৃত,-চাঁন মিয়ার পুত্র।
আহত চালক আবু বক্কর এই প্রতিবেদককে জানান, শুক্রবার (২০শে জানুয়ারী) জিবিকা নির্বাহের দাগিতে প্রতিদিনের ন্যায় ভাড়াকৃত ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকটি নিয়ে তিনি রাতে ডিমলা সদরের শহীদ মিনার চত্বরের কাউসার মোড় (উক্ত গাড়ির স্টান্ডে) দ্বারায়।রাত-প্রায় ৯টার দিকে তিনজন যাত্রীবেশী যুবক পাশ্ববর্তী জলঢাকা উপজেলার কালীগন্জ বাজারে যাবার কথা বলে সেই ইজিবাইকে উঠে।
কিন্তু কালীগন্জ পৌছালে ওই তিনজন যুবক সেখানে না নেমে উল্টো আরো দুইজন যুবক গাড়িতে উঠে মোট পাচজন যাত্রীবেশী তাকে বলেন, আর একটু সামনে চলেন।
আমরা যে আত্নীয়ের বাসা যাব তার বাসাটি আর একটু সামনে, তাই আমরা যেদিক দিয়ে যেতে বলি আপনি সেদিক দিয়ে যাবেন তাতেই আপনার সুবিধা হবে।
তাদের কথা মতই কালীগন্জ বাজার পেড়িয়ে আলু কোলেস্টারের পাশের কাচা রাস্তা দিয়ে বেশ কিছু দুর যেতেই নির্জন এলাকায় উক্ত যাত্রী বেশী ছিনতাইকারীরা তাকে তার ইজিবাইকটি তাদের দিয়ে জীবিত পালিয়ে যেতে বলেন।
কিন্তু চালক তাতে অস্বীকৃতি জানালে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা ওই চালকের হাত-পা বেধে তাদের দেহে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে চালককে হত্যার উদ্যেশ্যে এলোপাতারি কোপাতে থাকেন। এ সময় চালকের আত্নচিৎকারে স্হানীয়া ছুটে আসার পুর্বেই ছিনতাইকারীরা ঘটনাস্হল থেকে ইজিবাইকটি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ছুটে আসা স্হায়ীরা চালককে গুরুত্বর আহত অবস্হায় উদ্ধার করে চালকের বাড়ি ডিমলায় হবার সুবাদে তাকে ডিমলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্হা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎস্বার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
সেই সময়ের ডিমলা সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ অনুপ কুমার এই প্রতিবেদক কে জানান,আহত ব্যক্তির মাথায়,চোখের নিচে,বুকে ও হাতে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন,তার শরীরের একাধিক স্হানে সেলাই দেয়া হয়েছে।এমনকি তার ডান হাতের কয়েকটি রগ কেটে যাবার ফলে তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে স্হান্তর করা হয়েছে।
ডিমলা থানার সাবইন্সপেক্টর শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ জানান,আমি ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে নিজে ছুটে গিয়ে আহত চালককে দেখে যেহেতু ঘটনাটি জলঢাকা উপজেলার সীমানায় ঘটেছে তাই জলঢাকা থানায় তাদের আলামত জমা ও লিখিত অভিযোগ দেবার পরামর্শ দিয়েছি।
তবে এ রিপোর্ট লেখা (শনিবার ভোর ৬টা) পর্যন্ত জলঢাকা থানা কোনো অভিযোগ পাননি বলেই থানা সুত্রে জানা গেছে।