বৃহস্পতিবার থেকে দৈবকৃপাধন্য সেই নিমগাছের তলায় ভিড় জমিয়েছেন গ্রামবাসীরা। রটে গেছে, গাছে রয়েছেন শীতলা দেবী।
নারায়ণগড় ব্লকের বেলদা অঞ্চলের সবুজপল্লি এলাকা। নারায়ণগড় সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প অফিসের সামনের মাঠেই রয়েছে একটি নিমগাছ। হঠাৎ কেউ আবিষ্কার করেন, নিমগাছের গা বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে দুধ। কেউ কেউ হাতে নিয়ে চেটে দেখেন দিব্যি মিষ্টি।
মুহূর্তে ছড়িয়ে যায় এই কাহিনি। দলে দলে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে গাছের তলায়। সাদা সেই তরল পদার্থ চেখে সকলেই মত দেন যেন যে, মিষ্টি দুধই গড়িয়ে পড়ছে গাছের গা বেয়ে। মুহূর্তে রটে যায় দৈব মাহাত্ম্যের লীলা। সঙ্গে সঙ্গেই চলে আসে ফুল-ধূপ-সিঁদুর। নিমগাছ তখন দেবতা। কেউ বাড়ি থেকে নারকেল এনে ফাটান গাছের গোড়ায়।
দেবতা কিংবা অলৌকিক ব্যাপার ছাড়া অন্য কিছু আর ভাবতেই পারছেন না গ্রামবাসীরা। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের এক কর্মী সমবেত জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, এটি প্রাকৃতিক নিয়ম। শীতের সময় গাছ রেচন পদার্থ ত্যাগ করে।
কিন্তু, তা শুনতে নারাজ ধার্মিক মানুষ। রীতিমতো তর্কও জুড়ে দেয় তারা। অগত্যা সেই কর্মী রণে ভঙ্গ দেন। এলাকার এক পুরোহিত প্রচার করেন, বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। গড়ে তোলা দরকার মন্দিরও।