প্রায় ৭ বছর আগে পরিচয়। এরপরই ‘ঘনিষ্ঠ’ হয় ক্রিকেটার আরাফাত সানি ও নাসরিন সুলতানার সম্পর্ক। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর পরিবারের অজ্ঞাতে বিয়েও করেন তারা। কিন্তু মেয়েকে ঘরে তুলে নেননি আরাফাত সানি। নাসরিন বারবার অনুরোধ করলেও তাতে কান দেননি তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলার অভিযোগপত্রে এসব লিখেছেন নাসরিন সুলতানা।
মামলার অভিযোগে নাসরিন দাবি করেন, আরাফাত সানির সঙ্গে আগেই বিয়ে হওয়ার বিষয়টি জানতো না পরিবার। এরপর নাসরিন সুলতানা আবারো সানিকে পারিবারিকভাবে ঘরে তুলে নেয়ার অনুরোধ জানান। তাতেও কাজ না হওয়ায় বিয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করারও প্রস্তাব দেন নাসরিন।
মামলার অভিযোগে নাসরিন আরো বলেন, ‘গেলো বছরের ১২ জুন রাতে ১টা ৩৫ মিনিটে নাসরিন সুলতানা (Nasrin Sultana) নামের একটি ফেসবুক ফেইক আইডি থেকে নাসরিনের আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। ওই ফেইক আইডিটি আরাফাত সানির ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে খোলা হয়েছিল এবং ওই ছবিগুলো শুধু সানির কাছেই ছিল।’
পুলিশ বলছে, গেলো ৫ জানুয়ারি নাসরিন সুলতানা ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা (মামলা নং ১১) করেন। সানির সঙ্গে তার বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। এর স্বপক্ষে প্রমাণস্বরূপ নাসরিক সুলতানা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও দিয়েছেন।
এদিকে, আরাফাত সানিকে ১ দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াহিয়া। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন আরাফাত সানির মা নারগিস আক্তার।