ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় সব কাজ করা হয়।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির টিআইবি’র কার্যালয়ের মেঘমালা সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
‘জলবায়ু অর্থায়ন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান: প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসন’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন ও ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে সরাসরি রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ কাজ পেয়েছে এমন দেখা যায়না। এমনকি জলবায়ু পরিবর্তনে বিপন্নতার হারে বরাদ্দও দেয়া হয় না। প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের নির্বাচনী এলাকায় বড় বড় প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়।তিনি বলেন, দুর্নীতি যারা করে তারা অনেক স্মার্ট। তারা দুর্নীতির নতুন নতুন সিস্টেম তৈরি করে। ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করে। হয়তো আগামীতে দুর্নীতির আরো অনেক নতুন পদ্ধতি দেখব। এদের নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় দুর্নীতিপরায়ণ লোকদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল (বিসিসিটিএফ) গঠন করা হয়েছে। এটা খুবই সময় উপযোগী একটি ফান্ড। তবে এই ট্রাস্টফান্ড ব্যবস্থাপনার জন্য যে কমিটি করা হয়েছে তারা যেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোন কাজ না করে। প্রয়োজনে এই ফান্ড ব্যবস্থাপনার জন্য অনেক বেশি দক্ষতা সম্পন্ন লোকদের নিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা যেতে পারে।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে অর্থের সীমাবদ্ধতার কারণে জলবায়ু প্রকল্পের বাজেট কমানোর যুক্তি দেখানো হয়। কিন্তু বিদ্যমান তহবিল দিয়েই আবার বেশি এলাকা অন্তর্ভুক্ত করার প্রবণতা দেখা যায়। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় গুণগত ও টেকসই সমাধান গুরুত্ব পায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জলবায়ু তহবিল ব্যবহার করে নিয়মিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা এবং জলবায়ু ঝুঁকি বিবেচনা না করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।