রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পরদিন আনুষ্ঠানিক এই প্রতিক্রিয়া জানাল বিএনপি।
মঙ্গলবার রাতে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমরা মনে করি, একজন বিতর্কিত সাবেক সরকারি কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত কোনো প্রতিষ্ঠান নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
“কাজেই এই সিইসির নেতৃত্বে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না।”
মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা নূরুল হুদা বিএনপির শাসনামলে ওএসডি থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালে সচিব হিসেবে অবসরে গিয়েছিলেন।
সে সময় সরকারের বিরাগভাজন এই কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতে না পারার কথা উল্লেখ করেছেন মির্জা ফখরুল।
তার ভাষ্যমতে, নুরুল হুদা যুগ্ম সচিব হিসেবে চাকরি জীবন শেষ করেন।
“অতিরিক্ত সচিব ও সচিব হয়েছেন শুধুই কাগজে। প্রকৃতপক্ষে তিনি একদিনের জন্যও অতিরিক্ত সচিব কিংবা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নাই।
“ফলে এসব পদে দায়িত্ব পালনে কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা তার নেই। অভিজ্ঞ সচিব ছাড়া সিইসি নিয়োগের এই ঘটনা অভূতপূর্ব। রাজনৈতিক বিবেচনা ছাড়া এমন হওয়ার কথা নয়।”
২০০১ সালের ২৪ জুলাই বিএনপি ক্ষমতায় এসে কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে নূরুল হুদাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়। সর্বোচ্চ আদালত পরে বিএনপি সরকারের ওই আদেশ বেআইনি ঘোষণা করে। পরে তিনি ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন এবং সব ধরনের আর্থিক সুযোগ সুবিধা লাভ করেন।
এ বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব পালনকালে নূরুল হুদার মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “এর ফলে আমাদের দল সম্পর্কে তার (নুরুল হুদা) মনে ক্ষোভ থাকতে পারে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ শাসনামলে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেয়ে তিনি আওয়ামী লীগের প্রতি অনুরাগ পোষণ করতে পারেন।
“এই দুই বিপরীত পরিস্থিতির মধ্যে তিনি কতটুকু নিরপেক্ষতা অবলম্বন করবেন, সে ব্যাপারে জনমনে যৌক্তিক প্রশ্ন রয়েছে। একটি নির্বাচন কমিশনের যাত্রার শুরুতে আস্থার সংকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যার জন্ম দিতে পারে।”