শরিফুল ইসলাম নড়াইল প্রতিনিধি ঃ
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম এবং সাংগঠনিক
সম্পাদক জুলফিকার আলী মন্ডলকে অপসারনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নড়াইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা
বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগি সংগঠনের একাংশের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি
জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান অভিযোগ
করেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নড়াইল জেলা
বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠন সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভা
আহব্বান করা হয়। এসময় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব
হারুন অঅর রশিদ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু,
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও অনিন্দ্য ইসলাম অমিত উপস্থিত
ছিলেন।
আলোচনা সভা শুরুতেই নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর
আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী মন্ডলের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন
ভাড়াটে গুন্ডা পিস্তল ও শর্টগান নিয়ে সভাস্থলে হামলা চালিয়ে কালিয়া
পৌরবিএনপির নেতা স.ম. ইকরাম রেজাকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সামনে
মারপিট করে। যার ফলে সভা পন্ড হয়ে যায়। সম্প্রতি বিশ^াস জাহাঙ্গীর আলমের
ইন্ধনে বিএনপির চেয়ার পার্সনের কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির নেতা
এডভোকেট সরোয়ার রহমানকে মারপিট করে বলেও অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরো অভিযোগ করেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ঢাকায় অবস্থান
করে অসাংগঠনিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণের পাশাপাশি অবৈধভাবে পকেট
কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন। তিনি কমিটি পুর্নগঠন প্রক্রিয়াকে
বাধাগ্রস্থ করে সভাপতিপদ আঁকড়ে ধরে রাখতে চান বলে অভিযোগ করা হয়।
অবিলম্বে জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠনেরও জোর দাবি
জানানো হয়।
এসময় বিএনপির চেয়ারপার্সনসহ দলের সকল নেতা-কর্মিদের নামে মিথ্যা
হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির যুগ্ম-
সম্পাদক অশোক কুমার কুন্ডু, পৌরবিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল খবির
রেজা, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট ইশতিয়াক হোসেন মঞ্জু,
মফিজুর রহমান জমাদ্দারসহ নেতৃবৃন্দ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে আনা এসব
অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,কারা ওদের মেরেছে আমি তাদের চিনি না। আমি
বরং ওদের সেভ করেছি। ওরা (বিদ্রোহী গ্রুপ) আসন্ন জেলা বিএনপির
সম্মেলনে নিজেদের মধ্যে পদ-পদবী নিয়ে ভাগাভাগির নিয়ে নিজেরাই এ ঘটনা
ঘটাতে পারে।