কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে উত্ত্যক্ত করতে বাধা দেওয়ায় বখাটেদের হাতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাবা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২.৩০ মিনিটে কটিয়াদী ডিগ্রি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত বাবাকে (৩৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে শান্ত মিয়া নামের এক তরুণকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। মেয়েটির পরিবার জানায়, সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। শিপন মিয়া (২৪) নামের এক তরুণ এক বছর ধরে মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছেন। মেয়েটির মা সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েও এর প্রতিকার পাননি। মেয়েটির বাবা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে ছিলেন। মাসখানেক আগে তিনি দেশে ফেরেন। দেশে এসে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি জেনে তিনি কয়েক দিন আগে শিপনের সঙ্গে দেখা করে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন।
অন্যথায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন। এতে শিপন ক্ষুব্ধ হন এবং এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তিনিও ছেড়ে দেবেন না বলে হুমকি দেন। মেয়েটির বাবা বলেন, গতকাল তাঁর মেয়ের পরীক্ষা ছিল। সকালে মেয়েকে পরীক্ষার কেন্দ্র কটিয়াদী ডিগ্রি কলেজে নিয়ে যান তিনি। তখন পথে তাঁর সামনেই মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেন শিপন। এ সময় তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন। তিনি মেয়েকে পরীক্ষার কেন্দ্রে পাঠিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। দুপুর ১২.৩০ মিনিটে দিকে এক তরুণ এসে তাঁকে ডেকে কিছুটা দূরে নিয়ে যায়।
সেখানে শিপনের নেতৃত্বে ছয়-সাতজন তাঁর ওপর হামলা চালায়। এতে তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন মেয়েটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়েকে কেন্দ্রে পাঠিয়ে আমি বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। দুপুরে শিপন, আবু কায়সার, বাবু মিয়া ও আরও কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। তখন তারা বলছিল, আমি কেন উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করলাম।’ যোগাযোগ করলে শিপন হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েটিকে আমার পছন্দ হয়। তবে উত্ত্যক্ত করতাম না। ওর বাবাকে কারা মারধর করেছে আমার জানা নেই।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কটিয়াদী থানার (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির দাদা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগটি এখনো মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়নি।
আতিকুর রহমান কাযিন,কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ