জাকির হোসেন,পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)থেকে :
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৯নং সেনগাঁও আগ্রাগরিনা বাড়ি (ফাসঁপাড়া) গ্রামে
নিজের স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন এক গৃহবধুকে ঘরে আটকে রেখে
জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছে। রবিবার সকালে শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ
উদ্ধার করে পীরগঞ্জ সরকারি হাসপতালে ভর্তি করেছে। মেরির ভাই মুনজুর
আলম জানান, ১২বছর আগে পীরগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্টপুর
(তাজপুর)গ্রামের সফির উদ্দিন পাঘালুরু বড় মেয়ে মেরি আক্তারের সাথে
একই উপজেলার আগ্রাগরিনা বাড়ি(ফাসঁপাড়া)গ্রামের হাইদর আলীর বড়
ছেলে রশিদের সাথে বিয়ে হয় ।বিবাহের পর থেকে রশিদ বিভিন্ন অজুহাতে
মেরির বাড়ি থেকে কয়েক লাখ টাকার যৌতুক আদায় করার পরও আবারো
যৌতুকর জন্য গৃহবধু মেরিকে প্রত্যেকদিন মারপিট এবং অমানুষিক
নির্যাতন করতে থাকে মেরিনা তার স্বামীকে উপযুক্ত মোটা অংকের টাকা
যৌতুক দিলেও তার উপর অমানুষিক নির্যাতন একবিন্দু পরিমান কমেনি
তার স্বামীসহ পরিবারের অত্যাচার। গত ১৭/২/১৭ইং তারিখে মেরির পাষন্ড
স্বামী বিভিন্ন ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে বলে আজকে তোমার বাবার বাড়ি
গিয়ে ৫লক্ষ টাকা নিয়ে না আনিলে তোমাকে জবাই করে নদীতে ভাসায়
দিব । তার বাবার বাড়িতে টাকা আনতে গেলে মেরির বাবা টাকা দিতে না
পারিলে স্বামী আব্দুর রশিদসহ তার শ্বশুর হায়দর আলী,শ্বাশুরি রশিদা,দেবর মাসুদ
রানা,পরিবদ্দিন,কাশেম সহ কয়েকজন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাটিতে শুইয়ে
ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করা শুরু করলে তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে
আসে তাকে গলা কাটা ও হাতকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। পরে
পীরগঞ্জ থানার এস আই সফিকুজ্জামানসহ তার সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত
গতিতে ঘটনা স্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ৯ নং সেনগাঁও
ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান জানান, আব্দুর রশিদ একজন
মেয়ে লোভী নেশাখোর ও জুয়ারু সে ইতিপূর্বে সে অনেক টাকা নষ্ট
করেছে।এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আমিরুজ্জমান
বলেন,বিষয়টি যৌতুকের মনে হয় এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি
অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।