হেলাল শেখ ঃ
ফাল্গুন মাসকে মাছ চাষ করার জন্য বছরের প্রথম ধরা হয় আর রেণু পোনা ছাড়া হয় বর্ষা কালে। আমরা কোনো
কাঙালী নয়, মাছে ভাতে বাঙালী এটাই আমাদের অহংকার । আমাদের দেশে জাতীয় মাছ ইলিশ দেশের সম্পদ।
ইলিশের জাটকা ধরা,পরিবহণ, আমদানি, রপ্তানি নিষেধ থাকলেও কেউই তা মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে
জনমনে। অনেকেই বলেন, রহস্যজনক কারণে মৎস্য কর্মকর্তা নিরব ভুমিকায় থাকায় রাজধানী ঢাকাসহ সাভার
আশুলিয়া ও দেশের বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ১০ ইঞ্চির নিচে সমপরিমানের জাটকা
ইলিশ।
রবিবার বিভিন্ন এলাকায় মাছের আড়ৎগুলোতে সরেজমিনে গিযে দেখো যায়, মাছ ব্যবসায়ীদের এক একজনের
কাছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কেজি জাটকা মাছ রযেছে। তারা বলেন, জাটকা মাছ ধরা বন্ধ করলে জেলেরা কি
খাবে ? আর আমরাও কি করে সংসার চালাবো বলুন?। এ বিষয়ে সাভার মৎস্য কর্মকর্তা মোছাঃ ফারহানা
জানিয়েছেন, আমরা চেষ্টা করছি জাটকা আমদানি রপ্তানি বন্ধ করার জন্য। তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস ধরে
আমরা অনেক ব্যক্তিকে আটক করে সাজা দিযেছি এবং একজনের ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরও
কিছু মৎস্য ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। সবাইকে সাবধান করা হচ্ছে যাতে তারা
জাটকা বিক্রি না করেন। দেখা যায়, বাজারে ৫০ গ্রাম ওজনের জাটকা থেকে শুরু করে ১ কেজি সাড়ে ৪শ’
গ্রাম সমপরিমান ও প্রায় ২ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে। তাহলে এখানে পরিস্কার ভাবে দেখা যাচ্ছে
দেশের সম্পদ কিভাবে নষ্ট করছে কিছু লোক। এ সম্পদ আপনার আমার সবার।
জানা গেছে, বরিশাল, চাঁদপুর, চট্রগ্রাম ও আরিচা ঘাট থেকে নদীর তাজা টাটকা ইলিশের জাটকা মাছ
ধরে আমদানী রপ্তানি ও মজুদ করছে অনেকই। মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ জুন ২০১৭ ইং
পর্যন্ত ১০ ইঞ্চির নিচে যেকোনো জাটকা ইলিশ ধরা সরকারি ভাবে নিষেধ এবং পরিবহণ করা, ক্রয়-বিক্রয় করা,
এমনকি মজুদ করা দ-নীয় অপরাধ। আর এই অরাধের জন্য আইন অমান্যকারীকে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের
সশ্রম কারাদ- অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে।