অনলাইন রিপোর্ট ঃ
জঙ্গি ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় এশিয়ার পুলিশপ্রধানদের নিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও দেশটি সাড়া দেয়নি।
‘উগ্র সন্ত্রাসবাদ ও আন্তদেশীয় অপরাধ নির্মূলে আঞ্চলিক সহযোগিতা’ বিষয়ক দক্ষিণ এশিয়া ও প্রতিবেশী দেশগুলোর অংশগ্রহণে এ সম্মেলন আগামী ১২ থেকে ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ ও ইন্টারপোলের উদ্যোগে দেশে এবারই প্রথম এ ধরনের সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলনে ১৪টি দেশ, ছয়টি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকও অংশ নিচ্ছে। সম্মেলন শেষে একটি যৌথ ঘোষণাও দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ১২ মার্চ সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনাম অংশগ্রহণ করছে।
এ ছাড়া সাতটি আন্তর্জাতিক সংস্থা- ইন্টারপোল, ফেসবুক, যুক্তরাষ্ট্রের আইজিসিআই, এফবিআই, আসিয়ানপোল, আইসিআইটিপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
‘এ সম্মেলন আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ’ উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও আন্তদেশীয় অপরাধ দমনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটি এখন আর একক কোনো দেশের সমস্যা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদ জামাতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ঢাকার মিরপুর, কল্যাণপুর, আজিমপুর, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশ সফল অভিযান পরিচালনা করেছে। জঙ্গিবাদ দমনে দেশ-বিদেশে আমরা অনেক সুনাম অর্জন করেছি।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ পাকিস্তান কেন সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পাকিস্তানকে সম্মেলনের চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাদের কোনো জবাব (সাড়া) পাওয়া যায়নি।
সম্মেলনে ১৪টি কর্মকমিশন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে পুলিশপ্রধান বলেন, কর্ম-অধিবেশনে উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- আন্তদেশীয় অপরাধ ও সন্ত্রাস দমনে অভিজ্ঞতা ও তথ্য বিনিময়, সন্ত্রাস দমনে একটি সমন্বিত কৌশল প্রণয়ন, দক্ষিণ এশিয়ান পুলিশপ্রধানদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি প্লাটফর্ম গঠন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে পেশাগত ও কৌশলগত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ।