বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ
শতকরা ৮৫ পয়সার নিচে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সার্ভিস চার্জ রাখার দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন’। রাজধানীর তোপখানা রোডে নির্মল সেন মিলনায়তনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৭শ’ কোটি টাকা। কমিশন বাবদ কোম্পানির নির্ধারিত রেট অনুযায়ী দৈনিক কমিশন আসে ১২ কোটি টাকার বেশি। আর রিটেইলারদের সেন্ট মানি বাবদও কাটা হচ্ছে কোটি টাকা। যদি এ লেনদেন শুধু সেন্ট মানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে গ্রাহকরা উপকৃত হতো।
বক্তারা বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো কমিশন কেটে নেয় ১.৮৫ শতাংশ আবার বেশির ভাগ রিটেইলার নেয় ২ শতাংশ করে। দেখা যায়, যদি একজন গ্রাহক মোবাইল টু মোবাইল ক্যাশ আউট করেন তাহলে তার কাছে থেকে ১০ হাজার টাকার লেনদেনের জন্য কমিশন গুণতে হয় ২শ’ টাকা। আর ৫০ হাজার টাকার লেনদেন করলে ব্যয় করতে হয় প্রায় ১ হাজার টাকা। এ বিশাল টাকা ব্যয় করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রকৃতপক্ষে কতটুকু লাভবান হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যেখানে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করলে সিটির মধ্যে কোনো সার্ভিস চার্জ লাগে না বা সিটির বাইরে ব্যয় করলে ৫০ হাজার টাকা স্থানান্তর করলে কমিশন লাগে মাত্র ২৩ টাকা, সেখানে মোবাইল ব্যাংকিং করলে ব্যয় হয় ১ হাজার টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা সাধারণত একটি বার্তার মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়, যেই বার্তার খরচ পড়ে মাত্র ২৫ পয়সা।
সরকার যদি সত্যিকার অর্থে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে থাকে তাহলে অবশ্যই এর সার্ভিস চার্জ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাধ্যের মধ্যে আনতে হবে বলে দাবি করেন বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সংগঠনের উপদেষ্টা ড. মেজর (অব.) হাবিবুর রহমান, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশীদ খান প্রমুখ।