স্বাস্থ্য ঃ
বিষণ্ণতা বর্তমানে খুব প্রচলিত মানসিক সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে কোনো উপযুক্ত কারণ ছাড়াই কষ্ট লাগার অনুভূতি থাকলে তাকে বিষণ্ণতা বলে। বিষণ্ণতার তিনটি ধাপ রয়েছে। মাইল্ড, মডারেট ও সিভিয়ার।
বিষণ্ণ ব্যক্তি এমনিতেই একটি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে থাকে। এ সময় তাকে হুটহাট করে, সমস্যার প্রকৃত অবস্থা না বুঝে কথা বলা উচিত নয়। বরং এখানে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার। তার প্রতি সহমর্মী হওয়া উচিত।
যেসব কথা একজন বিষণ্ণ ব্যক্তিকে বলা ঠিক নয়, এ রকম কিছু কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ।
১. ‘আরে মজা করো’
বিষণ্ণতা একটি মানসিক সমস্যা। যারা বিষণ্ণতায় ভোগের তাদের কখনো বলা ঠিক নয় ‘আরে মন খারাপ করে আছ কেন? কেবল মজা কর’। আসলে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত লোকেদের মস্তিষ্ক থেকে কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক উপাদান বের হয়, যেগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। মানসিক কষ্টগুলো এত তীব্র হয় যে মজা করার মতো অবস্থায় সে থাকে না। তাই এসব কথা তাকে বুঝে শুনে বলাই ভালো।
২. ‘এগুলো তোমার বানানো সমস্যা’
বিষণ্ণতা কোনো মনগড়া বিষয় নয়। সাধারণত খুব জটিল সমস্যার কারণেই মানুষ দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়। তাই এ ধরনের কথাগুলো তার জন্য খুব বিরক্তিকর।
৩. ‘অনেকে এর চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছে’
আপনি যদি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে অন্য মানুষের অবস্থার তুলনা করেন বা বলেন যে এর চেয়ে মানুষ আরো কষ্টে আছে- এটা তার জন্য কোনো কাজে আসবে না। আসলে যার যার সমস্যা তার তার কাছে বড়।
৪. ‘চল বাইরে যাই’
বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো কাজের জন্য খুব বেশি চাপ দেবেন না। এতে তার লক্ষণগুলো আরো বেড়ে যেতে পারে।
৫. ‘তুমি কেবল মনযোগ পাওয়ার চেষ্টা করছ’
এটা খুব কড়া কথা একজন বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষের জন্য। বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষের জন্য তার সমস্যাটি বেশ যন্ত্রণাদায়ক। তাই এ ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
৬. ‘তুমি খুব নেতিবাচক’
বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হলে নেতিবাচক চিন্তা মাথায় আসবে। তবে যদি সবসময় বলা হয়, ‘তুমি নেতিবাচক চিন্তা করছ’- তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে আরো দুর্বল মনে করতে পারে ।
সূত্র, ntv