বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ
রাজধানীর আশকোনায় র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে দেশের ইতিহাসের প্রথম আত্মঘাতী বোমা হামলার পর সারাদেশের থানা, কারাগার, বিমান বন্দরসহ সব ধরনের বন্দরসমূহে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১টার পর ঘটা ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় বোমাবহনকারী নিহত হন। আত্মঘাতী ওই ব্যক্তি কোনো জঙ্গি গ্রুপের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় দুই র্যাব সদস্যও আহত হয়। তাদেরকে সামরিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। তারা এখন আশঙ্কামুক্ত।নির্মানাধীন এই সদর দপ্তরটি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। সেই প্রাচীরের ভিতরে ঢুকে এই বোমা হামলা হয়েছে।
দেশের সব কারাগারে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। তিনি জানান, শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে কারাগারে আগত দর্শনার্থীদের কঠোরভাবে শরীর তল্লাশি করা হবে। তার পর তারা বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। নতুন যেসব বন্দী কারাগারে আসবে তাদেরও শরীর এবং তাদের সঙ্গে থাকা মালামাল ভালোভাবে তল্লাশি করে কারাগারে প্রবেশ করানো হবে।
এ ছাড়া কারারক্ষীরা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে দায়িত্ব পালন করবেন। অস্ত্রধারী যেসব কারারক্ষী আছে, তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবেন। কারা অভ্যন্তরে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি কারাগারের আশপাশে টহল বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারি পুলিশ সুপার তানজিনা আকতার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রবেশ পথে তল্লাশি বৃদ্ধির পাশাপাশি এপিবিএন এর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে আত্মঘাতী এই বোমার বিস্ফোরণ কোন জঙ্গিগোষ্ঠীর, তা সুনির্দিষ্ট করে না বলতে পারলেও র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেছেন: ‘বিস্ফোরকের ধরণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে হামলাকারী কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন: ‘এখানে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। দুপুর একটার দিকে একজন যুবক বাউন্ডারির নিচ দিয়ে ভিতরে ঢুকে যায়। র্যাব সদস্যদের থেকে ওই যুবক মাত্র ১০-১৫ গজ দুরত্বে ছিলেন। পরে তার কাছে ভেতরে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে পালিয়ে যেতে চায়। কিছুদূর গেলে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সে সেখানেই মারা যায়।’