স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
যশোরে জঙ্গি সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যশোর সদর উপাজলার রুদ্রপুর
মুক্তিযোদ্বা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তৈয়বুর রহমানের স্ত্রী, শ্যালিকাসহ
চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে শহরের শংকরপুর পশু হাসপাতাল
এলাকার তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয় সেখান থেকে পুলিশ বেশ কিছু
ইসলামী বই জব্দ করেছে। যা জিহাদী বই বলছে পুলিশ। একই সাথে সেখান
থেকে জামায়াতে ইসলামীর বইও জব্দ করা হয়েছে। তৈয়বুর রহমান জামায়াতে
ইসলামীর রোকন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আটকেরা হলেন: যশোর শহরের শংকরপুর পশু হাসপাতাল এলাকার অধ্যক্ষ তৈয়বুর
রহমানের স্ত্রী মাইশা ওরফে বিলকিস (২৬), শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার
হাসান আল মাসুম ওরফে লালের স্ত্রী নুসরাত পারভীন (২৭), মণিরামপুর উপজেলার
সালামতপুর গ্রামের মোজাহার মোড়লের ছেলে আফজাল (২৮) ও খুলনার কয়রা
উপজেলার কাগমারীচর গ্রামের আজম আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৯)।
কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) আবুল বাশার মিয়া জানিয়েছেন, গোপন
সূত্রে সংবাদ পেয়ে শংকরপুর পশু হাসপাতলের পেছনের তৈয়বুর রহমানের
বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ওই বাড়ি তল্লাশি করে বেশ
কিছু জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে জামায়াতে ইসলামীর
কিছু ফরম উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জঙ্গি তৎপরতার
সাথে তারা জড়িত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো. আবু সরোয়ার
বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই চলছে। তারা
জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত কি না সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে রবিউল ইসলামের খালা মাইশা বিলকিস জানিয়েছেন, তার স্বামী
বিভিন্নস্থানে ওয়াজ মাহফিল করে থাকেন। সে কারণে ইসলামী বই থাকে
বাড়িতে। ১৭ই মার্চ শুক্রবার চাঁপাই নবাবগঞ্জ পুলিশ তার স্বামীকে আটক
করেছে বলে জানতে পেরেছি। আটক রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শোয়েবনগর ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
মাইশা বিলকিস তার খালা। খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে পুলিশের হাতে
আটক হন তিনি।