আতিকুল ইসলাম দিপু, কলাপাড়া প্রতিনিধি : চরম দুর্ভোগ করে খেয়া পরাপার হয়ে ধানখালী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করছে। নিত্যদিন এমন দুর্ভোগ এখন দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন কেউ না কেউ আবার কাদায় পড়ে নাকাল হচ্ছেন। টিয়াখালী নদী পার হতে টিয়াখালী-লোন্দা খেয়াঘাটে এমন ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ বেশি। এসব ভোগান্তি ছাড়াও এঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে খেয়াঘাটটি প্রতি বছর ইজারা দেয়া হয়।
ইজারার শর্তাবলীতে উল্লেখ রয়েছে, পারাপারে কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হারের অতিরিক্ত কোন অর্থ আদায় করলে ইজারা বন্দোবস্ত বাতিল করা হবে। ইজারাদারকে নিজ খরচে যাত্রীদের ওঠানামার জন্য পাটাতন ও সিড়ির ব্যবস্থা এবং ঘাটে যাত্রীদের অপেক্ষা করার জন্য যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া খেয়াঘাটের উভয়পাড়ে ও প্রকাশ্য স্থানে নিজ খরচায় অনুমোদিত পারাপারের হারের তালিকা বাংলাভাষায় স্পষ্টরুপে সাইনবোর্ড আকারে লটকানোর নির্দেশনা রয়েছে। নইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এসব মানা হয় না। খেয়াঘাটে কোন টোল রেট নেই। ২০১৬ সালের ৯ মে সর্বশেষ টোলরেট নির্ধারন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী এ রেট নির্ধারন করেন।
স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ বেশি—সাগরকন্যা স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ বেশি।
যেখানে মানুষ পারাপারে জনপ্রতি চার টাকা। অযান্ত্রিক (বৈঠা নৌকায়) জনপ্রতি দুই টাকা। মটর সাইকেল প্রতি দশ টাকা। বাই সাইকেল চার টাকা। ছাগল/ভেড়া চার টাকা। গরু/মহিষ দশ টাকা। বিভিন্ন মালামাল (প্রতি ৪০ কেজি) তিন টাকা। রিক্সা/ভ্যান ছয় টাকা। কিন্তু এসব টোল রেট মানা হয় না। টোলরেট টানানোর জন্য ইতোপুর্বে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারকে চিঠি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খামখেয়ালীর শেষ নেই। যাত্রীরা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে সাহস পায়না। প্রতিবাদ করলে লাঞ্চিত করা হয়। এছাড়া ঘাট নির্মাণ না করায় নারী-পুরুষ যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সাদিকুর রহমান জানান, সরকারি নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।