স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর আজমপুর গ্রামের মইদুল ইসলামের কন্যা ছনিয়া
খাতুনকে বিয়ের দেড় মাসের মধ্যে তালাক নামায় স্বাক্ষর করতে হয়েছে।
এলাকা বাসী ও ভিকটিমের অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত ২৮ জানুয়ারী
ছানিয়ার একই গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র মোঃ জাকির হোসেনের সাথে
বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী, শ্বাশুড়ী, ননদ ও ভাসুরে অমানকি
নির্যাতন চালানো হতো। ছনিয়াকে নির্যাতন করে তালাকে বাধ্য না করতে
পেরে জাকির গা ঢাঁকা দেয়। এরপর ছনিয়ার পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের
হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল জাকিরের পরিবারের লোকজন।
গত ১৮ই মার্চ ছনিয়ার পিতাকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে জোর করে
কাজি অফিসের নিয়ে যেয়ে তালাক নামায় সহি করিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তালাকের বিষয়টি আজমপুর ইউনিয়ন কাজি আবুল খায়ের নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন জানান, ছেলে ও মেয়ে উভয়
প্রেম করে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর
জাকির এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায়।
গত ১৮ই মার্চ ছনিয়ার পিতা ও সৎ মাকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে
জাকিরের পরিবারের লোকজন চাপের মুখে তালাক নামায় স্বাক্ষর করিয়ে
নিয়েছে বলে ছনিয়া জানিয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সত্যতা
স্বীকার করে জানিয়েছেন বিষয়টি শুনেছি। মৌখিক ভাবে মেয়েটির চাচা
বিয়ের বিষয়টি জানিয়ে ছিল। কিন্তু তালাকের বিষয়টি আমার জানা নেয়।
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে
যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।