ঢাকা : গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিয়ে এক প্রকার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবে ইসিবি।
সেক্ষেত্রে আগামী তিন মাস বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতিবাচক থাকার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। রোববার আইসিসির সভা শেষে দেশে ফিরে তেমনটাই মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
নিরাপত্তাজনিত কারণে এর আগে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফর করেনি। সেই ঘটনা খুব অতীতে চলে যাওয়ার আগেই আবারো ধাক্কা খেতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট। গুলশান আক্রমণের জেরে বাংলাদেশ সফর নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করছে ইসিবি। গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছয় হামলাকারীসহ ২৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
শুক্র ও শনিবারের এই হামলার ভয়াবহতার কারণে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রোববার আইসিসি সভা থেকে ফিরে নিজ বাসায় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গুলশানের জঙ্গি হামলায় কারণে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের দেয়া বার্তা নজরে এসেছে বলে জানান তিনি। তারপরও সিরিজের তিন মাস বাকি থাকায় ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে দারুণ আশাবাদী বিসিবি সভাপতি।
শুক্রবার ও শনিবার গুলশানের ঘটনা এবং ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘বাংলাদেশে যা ঘটেছে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার অনেক কারণ আছে। ক্রিকেটেরও এখান থেকে ছাড় পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। পুরো বাংলাদেশের জন্য এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানানোর ভাষাও আমার নেই। এমন ঘটনা বাংলাদেশে ঘটতে পারে-এটা আমার চিন্তার বাইরে ছিল।’
এমন ভয়াবহ ঘটনার পর ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিক্রিয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিসিবি সভাপতি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতে ইংল্যান্ড যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আমরা যদি ওদের জায়গায় থাকতাম, তাহলে আমরাও একই বিষয় অনুসরণ করতাম।’
গুলশানের এমন সন্ত্রাসী ঘটনার পরও ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে দারুণ আশাবাদী বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কেননা ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ শুরু হতে এখনও তিন মাস বাকি আছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্যারিসে হামলার পরও ওখানে কিন্তু খেলা বন্ধ হয়নি। খেলা তার নিজস্ব গতিতেই চলবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এছাড়া ইংল্যান্ড সিরিজ হতে এখনো তিন মাস বাকি আছে। এই লম্বা সময়ে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি থাকবে না। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে যে কোনও দেশেই খেলা বন্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’