বাংলার প্রতিদিন ডটকম, ঢাকা ঃ
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এড়াতে অধিকাংশ নারী জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করেন। দাবি করা হয়, এসব পিল ৯৯.৭ শতাংশ নারীকে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ থেকে বাঁচায়। কিন্তু আসলেই কি এইসব পিল শতভাগ কার্যকরী? কিংবা পিল সেবন করলেই কি সম্ভাবনা থাকে না গর্ভধারণের?
উত্তরটা হলো- না! পিল সেবন করার পরেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাভাবিক ভাবেই গর্ভনিরোধে এসব পিলের ব্যর্থতা ৯ শতাংশ। আবার কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। পিল সেবন করার পরেও কখন হতে পারে গর্ভধারণ? আসুন জানা যাক!
নিয়মমতো পিল না খেলে এটি কাজ করবে না। অন্যান্য হরমোন কন্ট্রাসেপ্টিভের মতোই এসব পিল নারী দেহের সংশ্লিষ্ট হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অধিকংশ পিল এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টিন হরমোনের সমন্বয়ে কাজ করে। পিল নিয়মিত না খেলে এসব হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে নারীর ডিম্বাশয় আগের মতোই উর্বর হয়ে ওঠে বলে জানান ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গাইনেকোলজির প্রফেসর ফিলিপ ডার্নে।
বিজ্ঞানীরা ওরাল হরমোন ডোজকে নিরাপদ করতে গবেষণা চালিয়েছেন। প্রোজেস্টরেন-এস্ট্রোজেন পিলের কার্যকারিতা পেতে হলে ৬ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। প্রোজেস্টরেন পিল ব্যবহার করতে হবে প্রতিদিননের ভিত্তিতে। একদিন বাদ পড়লে দেহে হরমোনের মাত্রা কমে যেতে পারে বলে জানান প্ল্যান্ড প্যারেন্টহুড অব আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেনেসা কুলিনস।
কিছু বিশেষ চিকিৎসাপদ্ধতির জন্য এসব পিল কাজ করে না। যেমন- টিউবারকুলোসিসের জন্য রিফাডিন চিকিৎসা, গ্রিসেওফালভিনের জন্য অ্যান্টি-ফানগাল ড্রাগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে পিল কার্যকারিতা দেখাতে পারে না। তাই চিকিৎসকদের এসব ওষুধ নেওয়ার ক্ষেত্রে পিলের বিষয়ে পরামর্শ দিতে হবে।
যেকোনো হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধক পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ ওষুধ ও হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধনে ব্যাকআপ ব্যবস্থার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা।
মনে রাখবেন-
একটি সন্তানের আগে পিল না খাওয়াই ভালো। তাতে পরবর্তীতে সন্তান ধারণে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। একটি সন্তানের পর দীর্ঘদিন পিন খেলে পরবর্তীতেও সন্তান ধারণে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ওজন বেড়ে যাওয়া সহ নানা রকম শারীরিক সমস্যার উপসর্গ দেখা দিতে পারে পিল সেবনে।
সূত্র ,হেলথ বার্তা