বাংলার প্রতিদিন ডটকম, ডেস্কঃ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কুমিল্লা টাউন হলে ফল ঘোষণা শুরু হয়। সবশেষ ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফলে ধানের শীষ প্রতীকে সাক্কু পেয়েছেন ৬৮৯৪৮ হাজার ৯৪৮ ভোট।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৬৩। প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন সাক্কু।২০১২ সালে কুমিল্লার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। এরপর দ্বিতীয়বারের মত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো এবার।বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ভাবে শেষ হয় ভোট। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। সকাল থেকেই ভোটাররা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করে ভোট দেন।৮ ঘণ্টার ভোট শেষে বিকেল ৪টায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সামনেই ভোটবাক্স খোলা হয়।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিটি কেন্দ্রে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়।এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ভোট দেয়া শেষে প্রধান দুই দলের প্রার্থী ফলাফল যাই হোক মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন। তবে বেলা বাড়ার পর বিএনপির প্রার্থী তার এজেন্ট বের করা ও জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ তোলেন।নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ৪ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা (নৌকা) এবং বিএনপি মনোনীত ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবার কথা রয়েছে।
মেয়র পদে অপর দু’প্রার্থী হলেন জেএসডি মনোনীত শিরিন আক্তার (তারা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর মামুনুর রশীদ (টেবিল ঘড়ি)। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৪ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নগর জুড়ে মোতায়ন রাখা হয়েছে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের নিরাপত্তায় রয়েছেন ৫ হাজারের অধিক র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার সদস্য।
নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত ৩৬ জন নির্বাহী এবং ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।নির্বাচনে ১শ’ ৩টি কেন্দ্রে রয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার ফোর্সের সদস্যদের আলাদা মোবাইল টিম রয়েছে।দু’টি পৌরসভা নিয়ে ২০১১ সালের জুলাইয়ে গঠন হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন।
এবার দ্বিতীয়বারের মতো ভোট হচ্ছে। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও এবার মেয়র পদে ভোট হচ্ছে দলীয় প্রতীকে।কুমিল্লা সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৫শ’৬৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ৪শ’৪৭ জন এবং নারী ১ লাখ ৫ হাজার ১শ’১৯ জন।