মোঃ আরিফ জাওয়াদ, ঠাকুরগাঁও থেকে:- “আজরাইলের চেয়েও চরম নিকৃষ্ট ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।” তাদের অত্যাচার অতিষ্ট সীমান্ত পারের মানুষ। ঠাকুরগাঁও এর হরিপুর উপজেলার দনগাঁও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিদর্শনকালে এভাবেই বিএসএফকে কটাক্ষ করে বলেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ নৈয়ম উদ্দিন। তার মত স্থানীয়দের তাদের ভয়ে অতঙ্কে এভাবেই দিন পার করতে হয়।
কোথাও আবাদি জমি আবার কোথাও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া নাগর নদী। ভারতীয় সীমান্তের কাছকাছি গরু, ছাগল চলে গেলেই জোরপূর্বক সেগুলো ভারতে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এমনটিই অভিযোগ করেন আয়েশা বেগম নামে একজন।
তিনি বলেন, “গরু বাংলাদেশে থাকলেও, যদি ভারতের সীমানার কাছাকাছি গেলেই ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। আমার ধরে নিয়ে যাওয়া একটি গরু পরে, আমি বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত পাই।”
ভ্রমণপিপাসু দেরও আতঙ্কে থাকতে হয় সঙ্গে সতর্কতার সহিত নাগর নদী ও বাংলাদেশ-ভারত ঠাকুরগাঁও হরিপুর সীমান্ত ঘুরতে হয়।
দবিরুল ইসলাম নামে একজন জানায়, “তাবলীগ জামাআতের এক ছেলে সীমান্তে ঘুরতে এলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাকে ডাক দেয় এবং জোরপূর্বক ভারতে নিয়ে যায়। পরে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই ছেলেটিকে ফেরত আনা হয় বাংলাদেশে।”
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় জানায়, “ভারত সীমান্তের কাছাকাছি গেলেই বিএসএফ জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের ক্যাম্পে পশুর মত নির্যাতন করে।” তিনি বিশ্বাস করেন, বিএসএফ কর্মকর্তারা পদোন্নতির জন্য এ নির্যাতন করে। “যে যত পিটিয়ে রক্তাক্ত করতে পারবে তার পদোন্নতি তত বেশী”, বলে জানায় ওই ব্যক্তি।
এ দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হরিপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এক কর্মকর্তার কাছে ওইসব অভিযোগ তুললে তিনি অস্বীকার করে জানায়, “কথাটি পুরোপুরি অযৌক্তিক। ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করলে বিএসএফ তো চড়াও হবেই। তাছাড়া হরিপুর দনগাঁও সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে সু-সম্পর্ক রয়েছে।”
“গত কয়েকদিনের মধ্যে ২২টি গরু বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়েছে”, বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির ওই কর্মকর্তা।
[আজরাইল:- মুসলমান ধর্মালম্বীদের এক দেবদূত বা ফেরেশতা। তারা বিশ্বাস করেন, মৃত্যুকালে জীব-জন্তু ঈশ্বরের নির্দেশানুযায়ী প্রাণ সংহার করে। পৃথিবীর আমল বা কৃতকর্ম অণুযায়ী ভালো মানুষের কাছে পবিত্র রূপে আর পাপীদের কাছে ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হন এবং জীবন কবজ করেন।]