মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলা
সদরের স্মৃতিসৌধ মোড়ে মোবাইল ও কাপড়ের দোকান চুরি করার
সময় হাতে-নাতে ধরা পড়ে জনতার গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে
রফিক(১৮)নামের এক কুখ্যাত চোর।সে একই জেলার পাশ্ববর্তি
ডোমার উপজেলার খাটুরিয়া গ্রামের রবিউলের ছেলে।একই ঘটনায়
এ সময় অপর দুই চোর ডোমারের রকি (২৮) সৈয়দপুরের মিলন(৩০)
পালিয়ে যায় ।
আটককৃত চোরকে আজ রবিবার বিকালে জেলা কারাগারে প্রেরন
করা হয় ।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান,শনিবার রাত ১১টার সময় ওই চোর প্রথমে
সদরের স্মৃতিসৌধ মোড়ের
বন্ধ মহনা টেলিকমের টিন খুলে ছাদ কেটে চুরি করতে থাকা
অবস্ধসঢ়;হায় উক্ত দোকানের মালিকের ছোট ভাই সুর্য প্রতিদিনের
ন্যায় দোকানে রাত্রি যাপনের উদ্যেশ্যে তার দোকানের সাটার খুলতে
থাকলে ওই চোর বিপাকে পড়ে তারাতারি করে ছাদের উপড় দিয়েই
পাশের বন্ধকৃত মুন্না গার্মেন্টস ও ক্লোথ ষ্টোরে ঢুকে
আতœগোপন করে।পরে সুর্য তার দোকান (মহনা টেলিকম) খুলে
সব সাজানো মালা-মালা ও ক্যাশবাক্স এলোমেলো দেখে চিৎকার করতে
থাকলে আশ-পাশের দোকানিরা সহ এলাকাবাসী ছুটে এসে টিন
খোলা সহ ছাদ কাটা দেখে বুঝতে পারেন দোকানে চোর
ঢুকেছে!
এক সময়ে মালা-মাল গুলো পড়ে থাকতে দেখে চোর হয়তোবা পালাতে
পারেনি অনেকের মনে এমনটা সন্দেহ হলে চোরেরই কাটা ছাদ
দিয়ে পাশের দোকান মুন্না গার্মেন্টসে গিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি
অনেক খোজা-খুজির পর এক পর্যায়ে চোরকে হাতে-নাতে ধরতে
পেরে স্ধসঢ়;হানী জনতা গণধোলাই দিতে থাকলে খবর পেয়ে ডিমলা
থানা পুলিশ এসে উক্ত কুখ্যাত চোরকে গ্রেফতার করে ডিমলা
সরকারী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে
আসেন।
মুন্না টেলিকমের দায়িত্বে থাকা মালিকের ছোট ভাই সুর্য
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এই প্রতিবেদক কে জানান,
প্রতিদিনের ন্যায় আমি দোকানটি রাত-১০টার পর বন্ধ করে
রাতের খাবার খেয়ে আবার পুনরায় রাত্রিযাপনের জন্য দোকান খুলেই
দেখি এ ঘটনা!
তবে চোরকে ধরতে সক্ষম হলেও আমার দোকানে মোট-৪১টি
মোবাইল ও নগদ ৬৫০০০ টাকার মধ্যে আমি বর্তমানে-২১টি
মোবাইল সহ মাত্র-৫০০০টাকা পেয়েছি।
অপর দোকান মুন্না গার্মেন্টস ও ক্লোথ ষ্টোরের মালিক মজনু
জানান,আমার দোকানে ক্যাশবাক্সে-মাত্র ২৫০০ টাকা ছিলো যা
আমি পাইনি।
কিন্তু চোর যদি চুরি করবার মত যতেষ্ট সময় পেত তবে আজ
হয়তোবা পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকতোনা আমাদের।
এ ঘটনায় মহনা টেলিকমের মালিক হারুন অর রশিদ সুর্য বাদী
হয়ে ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন-যাহার মামলা নং-
(০২)তারিখ-২/৪/২০১৭ইং ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানার সাবইন্সপেক্টর-মাসুদ
বলেন,
জেলার কুখ্যাত চোর রফিক কে আজ রবিবার বিকালে জেলা
কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।বাকী পলাতক দুই আসামীকে ধরার
চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।