অনলাইন ডেস্কঃ
চরম বৈষম্যের কারণে সমাজের ক্ষতি বেড়েছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সামাজিক বন্ধন এবং বেড়েছে সংঘাত ও নিরাপত্তা ঝুঁকি।
এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ১৩৬তম ইন্টার-পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলন।১৭৩ সদস্য বিশিষ্ট বিশ্ব ফোরামের ১৩২ সদস্য দেশের গৃহীত ঘোষণায় বলা হয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইপিই’র সমাপনী অধিবেশন হয়।গেলো শনিবার ‘বৈষম্য নিরসন : সকলের জন্য মর্যাদা ও কল্যাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৫ দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।ঘোষণায় সবার জন্য অর্থনৈতিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ ও শ্রমিকের অধিকার সংরক্ষণ জোরদারের কথা বলা হয়।সম্মেলনে আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান আর দেখতে চাই না।
সকলের কল্যাণ ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে যে সব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন এই সম্মেলন তার অন্যতম।১৩৬তম সম্মেলনে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের খান শেখোয়ান শহরে রাসায়নিক হামলার নিন্দা জানানো হয়।
সেন্ট পিটার্সবার্গে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।লিঙ্গ সমতার বিষয়ে ঘোষণায় বলা হয়, নারী সংসদ সদস্যদের ফোরাম নারীদের অধিকতর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ জনিত সহিংসতার অবসানে আইনী পদক্ষেপ নেবে।
বাল্য বিবাহ ও নারী প্রজননাঙ্গের অপুষ্টি বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয়।বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও আইপিইউ’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রায় এক হাজার ২০৬ লোক অংশ নেন।এদের মধ্যে ১২৬টি দেশ থেকে ৬০৭ জন এমপি, ৪৬ জন সংসদের স্পিকার, ৩৬ জন ডেপুটি স্পিকার এবং ১৯১ জন নারী এমপি ছিলেন।