নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহিত তিস্তা নদী নাব্যতা হারিয়ে নালায়
পরিণত হওয়ায় পাড়া-পাড়ে নৌকার স্থান দখল করে নিয়েছে বাঁশের সাঁকো।
রাক্ষুসি পাগলা তিস্তা নদী কালের চক্রে নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হওয়াসহ
এখন ধু-ধু বালু চরে পরিণত হয়েছে। এছাড়া নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে অসংখ্য খাল
এবং কোলা নদীর সৃষ্টি হয়েছে। গ্রীষ্মকাল আসতে না আসতেই তিস্তা নদী মরা
খালে পরিণত হওয়ায় নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসির উদ্যোগে নদীর উপর
বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দু-পাড়ের মানুষ পাড়াপাড় করছেন। সরেজমিন উপজেলার
তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে বাঁশের
সাঁকো ও পায়ে হেটে সাধারণ মানুষ তিস্তা নদী পাড়ি দিচ্ছেন। কথা হয় তিস্তা
পাড়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহেদ সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, তিস্তা নদী মরাখালে
পরিণত হওয়ায় নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হরিপুর-কাশিমবাজার হতে সুন্দরগঞ্জ
উপজেলা শহরে পৌঁছতে ৪/৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে তিস্তার সাঁকো পাড়
হয়ে ধু-ধু বালু চর হেটে ৩/৪ ঘন্টা অধিক সময় ব্যয় হয়। নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকলে
এ পাড় থেকে ওপাড়ে যেতে আধাঘন্টা সময় লাগে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান
মোজাহারুল ইসলাম জানান, নদী খনন এবং ড্রেজিং না করার কারণে গতিপথের
পরিবর্তন হয়েছে। এমনকি তিস্তার চরাঞ্চলে চলাচলের মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর হতে প্রায় ১০ রুটের
নৌ চলাচল সম্পূর্নরুপে বন্ধ হয়ে গেছে। নদীর গতিপথ ফিরে আনার জন্য নদী খনন
এবং ড্রেজিং একান্ত প্রয়োজন।