আব্দুর রহিম পলাশ : বাংলােেদশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য-চাঁপাইনবাবগঞ্জের
জনপ্রিয় লোকজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য-গম্ভীরা গান সংরক্ষণ প্রকল্পের
উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক তৌফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের
সচিব মঞ্জুর হোসেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরাকে
যুগযুগ টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে ইউনেস্কো পার্টিসিপেশন প্রোগ্রামের
আওতায় বাংলাদেশে ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সহায়তায় বেসরকারী
উন্নয়ন সংস্থা প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রয়াসের প্রধান
নির্বাহী হাসিব হোসেন। প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন লোক সংস্কৃতি
গবেষক আরমান আলী। বক্তব্য রাখেন ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের প্রোগ্রাম
অফিসার মো.তাজউদ্দিন, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা ফারুকুর
রহমান,জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোনাব আলী,চাঁপাই
গম্ভীরা দলের নানা মাহবুবুর রহমান সহ গম্ভীরা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বক্তারা বলেন, গম্ভীরার প্রধান আকর্ষন নানা-নাতির
উপস্থিত সংলাপ আর অঙ্গভঙ্গি। তাঁদের বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে
সমাজের নানাবিধ অবস্থা ও সমস্যা ব্যঙ্গমিশ্রিত কৌতুকের আবরণে তুলে
ধরা হয়। যা সমাজের সকল স্তরকে তীব্রভাবে আকর্ষন করতে পারে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমাবদ্ধ পরিসর থেকে গম্ভীরার যাত্রা শুরু হলেও এটি
এখন সারা দেশেই সমাদৃত। একে টিকিয়ে রাখতে হবে। পরিকল্পিতভাবে এর
উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ জন্য সরকারী বেসরকারী উভয় মহলের উদ্যগ দরকার। এ
জন্য পাঠ্য পূস্তকে লোকগান অন্তর্ভূক্তি, গম্ভীরা একাডেমী ও গম্ভীরা
যাদুঘর প্রতিষ্ঠার দাবী জানানো হয় আলোচনায়। বাংলাদেশের মঙ্গল
শোভাযাত্রা, জামদানী ও বাউল গান এখন ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যর অংশ। এর মধ্যে শুধুমাত্র বাউল গান লোকজ সংস্কৃতির
অংশ। অথচ দেশে বিশ্ব সাংকৃতিক ঐতিহ্যর অংশ হবার মত আরও অনেক
কিছুই আছে। গম্ভীরাকে সুরক্ষিত ও উন্নয়ন করে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপনের
মাধ্যমে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবার চেষ্টা শুরু
করতে হবে। এ ব্যাপারে সাহায্যের জন্য সরকারের মাধ্যমে ইউেেনস্কোর দৃষ্টি
আকর্ষন করা হয় আলোচনায়।