স্পোর্টস ডেস্কঃ
দশ-এগারো বছর জাতীয় দলে খেলছেন। এতদিন বাদে এসে মুশফিকের মনে হচ্ছে, তার অনেক কিছুই নেই। এ জন্য তিনি দায়ী করছেন জাতীয় দলের পারিশ্রমিককে।
রোববার মিরপুরে দলবদল করতে এসে বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘জাতীয় দলে আমরা ৮-১০ মাস ব্যস্ত থাকি। সেক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লিগ ও বিপিএল আমাদের জন্য অনেক বড় একটা আর্থিক দিক। যা পাই আড়াই-তিন মাস খেলে। জাতীয় দলে খেলা তো অবশ্যই গৌরবের। যেখানে আমরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি। তারপরও আমি মনে করি ন্যাশনাল টিমের পেমেন্ট যদি এরকম (প্রিমিয়ার লিগের মতো) হতো, তাহলে ভাল হতো। দশ-এগারো বছর খেলার পর মনে হচ্ছে অনেক কিছুই নেই, অনেক কিছু করার এখনও বাকি আছে।’
পারিশ্রমিক বাড়াতে বোর্ডের কাছে অনুরোধও জানান তিনি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ছেড়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক। মে-জুনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ম্যাচপ্রতি চুক্তি করেছেন ক্লাবগুলোর সঙ্গে। মাশরাফি-মুশফিক-সাকিব-মাহমুদউল্লাহর মতো জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা ম্যাচপ্রতি পাবেন প্রায় ৫ লাখ টাকা করে।
আন্তর্জাতিক সূচির বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেট বলতে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে পারেন। এখানে খেলে তারা যা আয় করেন, তার অর্ধেক পান না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে।
তাছাড়া আন্তর্জাতিক সিরিজ ও টুর্নামেন্ট নিয়ে বছরজুড়ে ব্যস্ততা থাকায় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সুযোগ কমই পান।
একটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেললে মুশফিকরা পান ৭৫ হাজার টাকা করে। টেস্ট খেললে পান তার দ্বিগুণ। পঞ্চমদিন লাঞ্চ পর্যন্ত টেস্ট খেলতে পারলে দেওয়া হয় দুই লাখ টাকা করে। আর ‘ড্র’ করলে পান আড়াই লাখ। সবচেয়ে কম পারিশ্রমিক টি-টুয়েন্টিতে, ম্যাচফি ৫০ হাজার।