মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে ভুল প্রশ্নে এইচএসসি
পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ায় ১৫জন ছাত্র-
ছাত্রীর শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ভুল প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা
কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকদের জানালেও উল্টো শিক্ষকরা তাদের হুমকি প্রদান করেছে বলেও শিক্ষার্থীরা
অভিযোগে জানিয়েছেন। বাধ্যহয়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রকের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ডোমার সরকারী ডিগ্রী কলেজের ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী। চলতি
বছর এইচএসসি পরীক্ষা তারা ডোমার মহিলা ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে দিচ্ছেন। সোমবার তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা ছিল। মহাবিদ্যালয়ের ২নং কক্ষে ১৫জন পরীক্ষার্থীকে ২০১৬ সালের
প্রশ্ন পত্র না দিয়ে ২০১৭ সালের নতুন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র জোর পূর্বক প্রদান করে পরীক্ষা দিতে
বাধ্য করেন ঐ রুমে দায়িত্বরত শিক্ষকরা। পরীক্ষার্থীরা জানান, আমরা শিক্ষকদের ১৬ সালের প্রশ্নপত্রে
পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫মিনিট দাড়িয়ে প্রতিবাদ করলেও শিক্ষকরা আমাদের কথায় কর্নপাত
না করে উল্টো আমাদের বহিস্কারের হুমকি দিয়ে ১৭ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে বাধ্য করেন।
পরীক্ষার্থী লাবু বলেন, আমি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর যখন দেখি ১৭ সালের প্রশ্নপত্র তখন
স্যারকে বিষয়টি জানালে স্যার আমাকে ধমকের সুরে বলেন, তোমরা পরীক্ষা দাও পাশ করে দেওয়ার দায়িত্ব
আমাদের। পরীক্ষার্থী সুমন, হৃদয়, সাহের, ফারজানা, সাবরীনা ও সন্তোষ কুমার জানান, ১৭ সালের
প্রশ্ন পেয়ে আমরা ৫মিনিট দাড়িয়ে স্যারদের বিষয়টি অবগত করলেও তারা আমাদের কথায় কর্নপাত
করেননি এবং বাইরে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা ১৭ সালের প্রশ্ন
পত্রে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হই। তারা জানান, এমনিতেই আমরা পুরাতন শিক্ষার্থী তার উপর ভুল প্রশ্নে
পরীক্ষা দেওয়ার কারনে আমাদের শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। পরীক্ষা শেষে ঐ ১৫ জন পরীক্ষার্থী
ডোমার সরকারী কলেজে এসে উপাধক্ষ্যের কাছে বিষয়টি জানালে উপাধ্যক্ষ রবিউল করিম মহিলা কলেজের
কেন্দ্র সচিবকে বিষয়টি অবগত করে। উপাধক্ষ্য রবিউল করিম ভুল প্রশ্নে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার
বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এর আগেও ঐ কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্রে দুইজন ছাত্রকে ভুল প্রশ্ন পত্র দিয়ে
পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। মহিলা কলেজের কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার
বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ভুলে এই কাজটি হয়ে গেছে। তবে পরীক্ষা চলাকালীন তাকে কেউ বিষয়টি
জানায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।