বাংলার প্রতিদিন ডটকম, ঢাকা ঃ
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ট্রাফিক সিগন্যাল ও বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে হিজড়াদের উৎপাত বেড়েছে মারাত্মকভাবে। সকাল দুপুর রাতে হরহামেশাই পথচারী ও যাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করে থাকে তারা। এতে অস্বস্তিতে পড়েন অনেকে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় এই জনগোষ্ঠী অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর।
অসংলগ্ন কথাবার্তা আর অস্বাভাবিক দেহভঙ্গিতে নানা টালবাহানায় এভাবেই নগরবাসীর কাছে অর্থ দাবি করছে হিজড়ারা। অসম্মতি জানালে অশ্রাব্য গালাগাল থেকে শুরু করে শারীরিক নির্যাতনেরও অভিযোগ করেছেন অনেকে। রাজধানীর আগারগাঁও, ফার্মগেট, বিজয় সরণিসহ বিভিন্ন পার্কে এদের উৎপাতের পরিমাণ বেশি।
বিভিন্ন উৎসবেও নানা বাহানায় অর্থ আদায় করে তারা। পয়সা চাওয়ার ধরণকে চাঁদাবাজির সাথে তুলনা করেছেন কেউকেউ।
তবে কাজের সুযোগ পেলে ভিক্ষাবৃত্তি বা এ ধরণে চাঁদাবাজি থেকে বিরত থাকতেন বলে জানান হিজড়ারা।
এই জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সমাজ যেহেতু সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী তাই আমি মনে করি অনেকেই এখানে এগিয়ে আসতে পারেন।’
হিজড়াদের সহায়তায় শিক্ষাবৃত্তি, মাসিক ভাতা ও কর্মসংস্থান সহায়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর তথ্য মতে সারাদেশে ২০ হাজার এবং রাজধানীতে প্রায় ২ হাজার হিজড়ার বসবাস করলেও তাদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার।