অনলাইন ডেস্কঃ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেছেন, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল রোববার থেকে রাজধানীর গণপরিবহনগুলোতে কোনো সিটিং সার্ভিস থাকবে না।
আজ শনিবার বিআরটিএ ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মধ্যকার বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান মশিয়ার রহমান।
রাজধানীতে যে পরিমাণ মানুষ বসবাস করে সে তুলনায় গণপরিবহনের সংখ্যা অনেক কম। এর মধ্যে বেশির ভাগ গণপরিবহন সিটিং সার্ভিসের নামে কম যাত্রী নিয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
এই অভিযোগের অবসান ঘটাতে রোববার থেকে রাজধানীতে গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিএ। পাশাপাশি বাস-মিনিবাসসহ সব ধরনের গণপরিবহনে কিলোমিটারপ্রতি সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেন, ‘নগরীতে অনেক বাস সিটিং সার্ভিসের নামে হয়রানি হইছে আমাদের যাত্রীসাধারণ। এখন থেকে কোনো সিটিং সার্ভিস থাকবে না কাল থেকে। রাস্তায় সমস্ত বাস নির্ধারিত স্টপেজ অনুসারে চলাচল করবে এবং যেখানে যাত্রী ওঠানোর কথা, নামানোর কথা, সেখানেই নামাবে এবং কোনো প্রকার অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারবে না।’
ঢাকা মহানগরীর সব বাসে বিআরটিএ কর্তৃক ভাড়ার তালিকা যে তালিকা, সেটা টাঙ্গানো থাকবে।
ব্রিফিংয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান জানান, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে বিআরটিএ, ঢাকা মহানগর পুলিশ ও শ্রমিক-মালিক নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত পর্যবেক্ষণ দল। এই দল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। আইন না মানলে অথবা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরিবহন মালিকরা কোনো ধরনের কর্মসূচিতে যেতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া, সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে সম্প্রতি জারি করা নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা-ও তদারকি করা হবে।
এসব বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কালকের থেকে ঢাকা মহানগরীতে সর্বত্র অভিযান শুরু হবে। সেখানে আমাদের মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা এ জন্য এ ক্ষেত্রে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এবং আমাদের পুলিশ প্রশাসন থেকে পুলিশ দিয়ে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’
বৈঠকে উপস্থিত সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘যদি এই অভিযান সফল করার জন্য এক মাস সময় লাগে, দুই মাস সময় লাগে, আরো বেশি সময় লাগে, নিয়মে আনার জন্য, শৃঙ্খলায় আনার জন্য, আমরা ততদিন পর্যন্ত অভিযানটা চালিয়ে যাব বলে আশা করি।’
‘…আমরা আশা করি মহানগর পরিবহন ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খলভাবে, সুষ্ঠুভাবে আমরা চালাতে সক্ষম হব।’
সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে রোববার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বসবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সপ্তাহে তিনদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে।