অনলাইন ডেস্কঃ
আগামী ৮ জুন যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বুধবার হাউজ অব কমন্সে আগাম নির্বাচনের পক্ষে ৫২২ ভোট পড়ে, বিপক্ষে যায় ১৩টি ভোট। দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন ছিল। লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্রেটরা প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সমর্থন দেয়।
এর আগে মঙ্গলবার ব্রেক্সিটের ধাক্কায় হঠাৎ করেই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ৮ জুন মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে তিনি, এমনটিও জানানো হয়।
টেরেসা মে তখন বলেন, ইইউ গণভোটের পরে ব্রিটেনের আরো বেশি নিশ্চয়তা, স্থিরতা এবং শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রয়োজন। কিন্তু ব্রেক্সিটের পর জাতি এক হলেও সংসদ দ্বিধাবিভক্ত।
উদাহরণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন, বিরোধী লেবার পার্টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে চূড়ান্ত বোঝাপড়ার চুক্তির বিরোধিতার হুমকি দিয়েছে। লিবারেল ডেমোক্রেটরা সরকারকে অচল করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এই অবস্থায় নতুন নির্বাচন না দিলে এমন রাজনৈতিক খেলা অব্যাহত থাকবে।
ব্রিটেনের পরবর্তী নির্বাচন ২০২০ সালে হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এই বছরের জুনে নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
গত জুন মাসে ব্রেক্সিট অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার প্রশ্নে ব্রিটেনে গণভোটের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যমেরন পদত্যাগ করার পর টেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী হন। গত কয়েক মাসে প্রধানমন্ত্রী মে একাধিকবার মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।
ফলে হঠাৎ তার আগাম নির্বাচনের ঘোষণা অনেককেই অবাক করে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা তখন ধারণা করেন, জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে বিরোধী লেবার পার্টির বর্তমান বেহাল অবস্থার সুযোগ নিতে চাইছেন টেরেসা। সর্বশেষ জনমত জরিপগুলোতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে অনেক পিছিয়ে লেবার। ভোটারদের কাছে কনজারভেটিভ পার্টির গ্রহণযোগ্যতা যেখানে ৪২ শতাংশ, লেবারের গ্রহণযোগ্যতা সেখানে মাত্র ২৭ শতাংশ।