বাংলার প্রতিদিন অনলাইন ডেস্কঃ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদে অর্থায়নের সবগুলো উৎস এখনো পুরোপুরি চিহ্নিত করা যায়নি। যতটুকু চিহ্নিত করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, জঙ্গিদের সমমনা কিছু দেশি ও প্রবাসী লোক এই অর্থের জোগান দিচ্ছেন। আর যেসব জঙ্গি জঙ্গিবাদে যুক্ত হতে ঘর ছেড়েছেন, তারা সংগঠনকে তাদের সহায়-সম্পত্তি বিলিয়ে দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট’র সম্প্রতি ঝিনাইদহ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিচালিত জঙ্গিবিরোধী দুটি অভিযানের বিস্তারিত জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে আমরা জেএমবি সদস্যদের জাল মুদ্রা কারবারে যুক্ত হতে দেখেছি। আমাদের পাশের একটি দেশের এ জাল মুদ্রাগুলো প্রতিবেশী আরেকটি দেশ থেকে তৈরি হয়ে আসত। জেএমবি সদস্যরা এই মুদ্রা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অতীতে দেখা গেছে। এসব মুদ্রা পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে সেই প্রতিবেশী দেশের কূটনীতিক প্রত্যাহারও হয়েছেন। সুতরাং, জঙ্গিবাদে বিদেশি অর্থায়নের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জঙ্গি আস্তানা থেকে যেসব বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো দেখে মনে হয়েছে বাইরে থেকে সেগুলো আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আস্তানাটি নব্য জেএমবি সদস্যদের স্টোর হাউজ হিসেবে ব্যবহার করা হত।
তিনি মনে করছেন, ঝিনাইদহ থেকে আসা আবদুল্লাহ ও তার সঙ্গী বিস্ফোরক নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আস্তানায় গিয়েছিলেন। খোলা বাজার থেকেই ওইসব বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহার হওয়া বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো খুব শক্তিশালী বা উন্নত এটা বলা যাবে না। তবে সেগুলোর পরিমাণ অনেক বেশি বলে ধ্বংস ক্ষমতা বেশি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আস্তানায় যেসব বিস্ফোরক পাওয়া গেছে, তা অন্য কোথাও ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল বলে মনে করছেন মনিরুল। সেখানে সুইসাইড ভেস্টের পাশাপাশি চারটি অবিস্ফোরিত বোমাও পাওয়া গিয়েছিল বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম, প্রলয় কুমার জোয়ারদার, রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।