ঢাকা: পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীতে তীব্র যানজট।
বুধবার (০৮ জুন) দুপুর থেকে ঢাকার নতুনবাজার, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, কাকরাইল, পল্টন, গুলিস্থান, প্রেসক্লাব, শাহবাগ, কারওরানবাজার, ফার্মগেট, মহাখালী ও বনানীতে তীব্র যানজটের কারণে রাস্তাগুলো প্রায় অচল হয়ে যাওয়ার দশা। এসব এলাকার গাড়ির চাকাগুলোতে নেই গতি; ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে যানবাহনে বসে নাকাল হয়ে মানুষের অপেক্ষা।
সকাল ৯টা থেকে প্রগতি সরণিতে শুরু হয় তীব্র যানজট। বেলা গড়ালে তা একটু কমলেও, বিকেলের দিকে যানজট অসহনীয় পরিস্থিতিতে রূপ নেয়। মালিবাগ থেকে কুড়িল বিশ্বরোডের পুরো রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িগুলো একইস্থানে দাঁড়িয়ে আছে।
মালিবাগ থেকে শান্তিনগরের দু’পাশের রাস্তায় গাড়িগুলো একই স্থানে অবস্থান করছে। অন্যদিকে দু’পাশের রাস্তা দিয়ে একটির বেশি গাড়ি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ রাস্তাগুলোতে হাঁটু সমান পানি জমে আছে।
এদিকে পল্টন হয়ে শাহবাগ, কারওরানবাজার, ফার্মগেট এলাকায় পুরো রাস্তা জুড়ে থেমে থেমে গাড়ি চলছে। রাস্তার দুপাশ জুড়ে অসহনীয় যানজটে অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের পথে রওয়ানা দিচ্ছেন।
কারওরানবাজার এলাকায় তীব্র যানজটে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হাঁটা শুরু করেছেন নাসির উদ্দিন (৫২)। কোথায় যাবেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আব্দুল্লাহপুর যাবো। কিন্তু ২ ঘণ্টা ধরে একই স্থানে বসে আছি। এই রমজান মাসে রোজা থেকে আর বসে থাকা যায় না। তাই পায়ে হেঁটে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
মহাখালী থেকে বনানী পুরো রাস্তার দু-পাশ জুড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে একই স্থানে। গরমে অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে ছুটছেন।
তাদের মধ্যে এমনই একজন জসীম ভূইয়া (৩৫)। যানজট সম্পর্কে তিনি বলেন, গতকাল রমজানের প্রথম দিনেও অসহনীয় যানজট ছিল। কিন্তু আজ যানজটের তীব্রতা একটু বেশি। সকাল থেকেই যানজট লেগেই আছে।
নতুনবাজারে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট বাবুল বলেন, আমরা ৭টা থেকে এখন ডিউটি শুরু করি। রমজানের শুরুতেই একটু বেশি যানজট হয়ে থাকে। তবে আমরা রমজানে যানজট নিয়ন্ত্রের জন্য কাজ করছি।