মহিনুল ইসলাম সুজন, ক্রাইমরিপোর্টার নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডোমারে
গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনায় দোষী
ব্যাক্তিদের শাস্তি ও ৬দিন পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন
অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার দুপুরে শহরের রেলঘুন্টি মোড়ে ডোমার উপজেলা
শিক্ষকবৃন্দ(মাধ্যমিক)ও জাতীয় হিন্দু মহাজোট,ডোমার উপজেলা শাখার আয়োজনে এই
মানববন্ধন কর্মসূচীর অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী এ মানব বন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক,সহকারী শিক্ষক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ
অংশগ্রহন করে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ ডোমার উপজেলা শাখার সভাপতি শাহজাহান সরকার
বুলুর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, গোমনাতি উচ্চ
বিদ্যালয়ের নির্যাতিত প্রধান শিক্ষক এজাবুল হোসেন শাহ,ওই বিদ্যালয়ের সহকারী
শিক্ষক বিমল চন্দ্র রায়,বাকডোকরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদিস
চন্দ্ররায়,পাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরনী কান্তরায়,ডোমার আলিয়া
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সামছুদ্দিন হুসাইনী ও ডোমার বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক রবিউল ইসলাম প্রমূখ। প্রধান শিক্ষক দয়াল চন্দ্রের সঞ্চালনায় মানব বন্ধন শেষে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়ে স্বারক লিপি প্রদান
করা হয়।
উলেক্ষ্য গত ২০ মে গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়াকে
কেন্দ্র করে গোমনাতি এলাকার শুভ ও তার দলবল সন্ত্রাসী কায়দায় দিনে দুপুরে শিক্ষক
প্রতিনিধিদের লাঞ্চিত করে পেটে ছুরি ঠেকিয়ে রেজুলেশন বহিতে স্বাক্ষর আদায় করে ।
ঘটনার পর থেকে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও অবিভাবক মহল। ঘটনার
পরের দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো মামলা নথীভূক্ত হয় নাই। ডোমার থানার
অফিসার ইনচার্জ মোকছেদ আলী জানান.ওই স্কুলে ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে
শিক্ষকদের সাথে অভিভাবক সদস্যদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। শিক্ষক লাঞ্চিতের কোন ঘটনা ঘটে
থাকলে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে মামলা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।