বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

পাঁচবিবিতে কচুরলতির পাশাপাশি ঘাস চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২ জুন, ২০১৭
  • ৪০১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কচুরলতি চাষে দেশব্যাপী সুখ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি

গো খাদ্য ঘাস চাষে বিস্তার লাভ করছে। ধান, পাট, গম, ভুট্টাসহ সবজি চাষের পাশাপাশি

ঘাস চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে পড়েছে কৃষকরা। ঘাস উপজেলার চাষীদের কাছে

অর্থকরী ফসলের তালিকাভুক্ত।

কৃষকরা বলছেন ধান পাট ও সবজি চাষে সার কীটনাশক প্রয়োগে খরচ বেশি লাভ কম

পক্ষান্তরে ঘাস চাষে খরচ কম লাভ অধিক । উপজেলার পৌরসভাসহ ৮ টি ইউনিয়নের

সবকটিতে কম বেশি সবুজ ঘাসের চাষ হচ্ছে। এতে প্রকৃতির মনোরম পরিবেশ ও

বায়ুদূষণ সুরক্ষরায় সহায়ক হয়। প্রতিবছর উপজেলায় ২ শ হেক্টর জমিতে নেপিয়ার,

নেপিয়ারপাকচং, জার্মান জাতের এ ঘাসের আবাদ হয়েছে বলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ

কর্মকর্তা ডাঃ মামুনুর রশিদ জানান। তিনি আরো বলেন উপজেলা বর্তমানে গো

সম্পদের মধ্যে রয়েছে গরু এক লাখ ২৫ হাজার, ছাগল ৭৫ হাজার, ভেড়া ৫ হাজার। ঘাস শুধু

মাত্র গো খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হলেও দুগ্ধজাত গাভীকে থাইল্যান্ডের নেপিয়ারপাকচং ঘাস

খাওয়ালে দ্বিগুন দুধ পাওয়া যায় কারন এর ডাইজেষ্টটিবিলিটি প্রায় ৭০% এছাড়া অন্য

ঘাসের তুলনায় এতে প্রোটিনের পরিমান ১৬ থেকে ১৮%। এ ঘাস ১ বার চাষ করলে ৩ বছর

পর্যন্ত ফলন দেয় এবং বছরে ৬-৮ বার কাটা যায়। কাটার পর অল্প পরিমানে সার আর গ্রীষ্ম

মৌসুমে একটু বেশী পরিমানে সেচ দিলে ৪০-৫০ দিনে ঘাস প্রায় ৬ ফুট লম্বা হয়।

পৌরসভার রাধাবাড়ি এলাকার কৃষাণী কল্পনা বলেন আগে আমি জমিতে অন্য ফসল

লাগাতাম প্রাণী সম্পদ অফিসারে পরামর্শে গত ২ বছর যাবত ৮ বিঘা জমিতে এ ঘাস

চাষ করে আসছি। কল্পনা আরো বলেন সার-বীজ, লেবার ও সেচ খরচসহ বছরে বিঘা প্রতি

মোট ৩০ হাজার টাকা খরচ হয় আর ঘাস কেটে বাজারে বিক্রি করে প্রায় ৮০-৯০ হাজার

টাকা পাই। বাগজানা ইউনিয়নের চেঁচড়া গ্রামের মনোয়ার মোরশেদ বিপ্লব বলেন

আমি দু বছর ধরে এক বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করে খরচের দ্বিগুন টাকা লাভ করি।

পৌর সদর মাতাইশ মঞ্জিল এলাকার কৃষক চৌধুরী খাইরুজ্জামান বলেন প্রায় সব মাঠেই

এ ঘাসের চাষ দেখি। হাটে-বাজারে আটি বাঁধা এ ঘাস বিক্রি করা দেখে ২ বছর থেকে

আমিও এখন নিয়মিত থাইল্যান্ডের নেপিয়ারপাকচং জাতের সবুজ ঘাস চাষ করে আসছি।

কৃষকরা বলেন গরু খামার মালিকের কাছে এ ঘাসের অধিক চাহিদা। ঘাস চাষে অল্প খরচে

অধিক লাভ জেনে অনেক কৃষক ঘাস চাষে ঝুঁকে পড়েছে ও অনেকেই সাবলম্বী হয়েছে।

ডাঃ রশিদ বলেন এ ঘাস চাষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে দেশের সুফল বয়ে আনছে।

প্রান্তিক কৃষকদের প্রাণী সম্পদ বিভাগ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে এর প্রসার ঘটাতে ও

প্রাণী পুষ্টি উন্নয়ন প্রকোল্পের মাধ্যমে উপজেলার ৭৫ জন কৃষককে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে

ঘাস চাষের উপর উন্নত ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। ১০০ জন কৃষককে সরকারি ভাবে এ ঘাসের

চারা ও বীজ প্রদান করা হয়েছে।নেপিয়ার, নেপিয়ারপাকচং উঁচু জমিতে ও জার্মান

জাতের ঘাস নিচু জমিতে চাষ করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451