মোঃ আশিকুর রহমান(টুটুল),নাটোর জেলা প্রতিনিধি।
নাটোরের লালপুর উপজেলার বর্ষা মৌসুমের খরিফ-২ এর রূপা আমন ধান লাগানোর জন্য
বীজতলা ও জমি প্রস্তুতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা । স্থানীয় সূত্রে,
বাংলাদেশের মানচিত্রে লালপুর থানা সবচেয়ে উচু ও কম বৃষ্টিপাতের এলাকা হওয়ায় এই
অঞ্চলের জমিতে খরিফ-১এর রূপা আউষও রবি মৌসুমের বোরো ধানের চাষ হয় না । যার দরুন
এই অঞ্চলের কৃষকের একমাত্র বর্ষা মৌসুমের রূপা আমন ধানের চাষ করে থাকে । আর এই
বছর চলতি মৌসুমের শুরু থেকে কম বেশী প্রায় প্রতিনিয়ত বৃষ্টি হচ্ছে এবং
আষাঢ়এর শুরু থেকে দেখা মিলেছে আষাঢ়ারের ভাড়ী বর্ষণের । তাই তো এই অঞ্চলের কৃষকরা
ব্যাস্থ হয়ে উঠেছে বর্ষা মৌসুমের ধান লাগানোর জন্য বীজতলা ও জমি তৈরিতে । এ
ব্যাপারে স্থানীয় ধান চাষী ,নূর ইসলাম ,সিরাজুল ইসলাম,সোহেল রানা, আবুল হোসেন ,
হাবিবুর রহমান, মোস্তফা জানায়, এই অঞ্চলে কম বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে অন্যান্য
মৌসুমের খরিফ-১ এর রোপা আউষ ও রবি মৌসুমের বোরো ধানের চাষ হয় না । তাই এই
অঞ্চলের কৃষকগন একমাত্র বর্ষা মৌসুমের খরিফ -২এর রূপা আমন ধানের চাষ করে থাকে ।
এই মৌসুমে আষাঢ় এর প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে আষাঢ়ারের ১৫দিন পর্যন্ত বীজতলাই
ধানের বীজ বপনের কাজ চলে । আর আষাঢ়ের ৩০ তারিখ থেকে শুরু করে শ্রাবণের ২০ তারিখ
পর্যন্ত জমিতে ধান লাগানোর কাজ চলে । আবহাওয়া অনুকুল থাকলে এই মৌসুমে
প্রতি ১ বিঘা জমিতে ২০-২৫ মন পর্যন্ত ধানের ফলন হয়ে থাকে । এই অঞ্চলে বর্ষা
মৌসুমের যে সকল জাতের ধানের চাষ হয়ে থাকে তা হলো ,লাল স্বরর্ণা ,গুঠি
স্বরর্ণা,৩৩,বি১১,মিনিকেট,৪৯,৫০, ইত্যাদি জাত সমূহ উল্যেখ্য । তবে দেশীয় জাতের
ধানের তুলনাই হাইব্রিট জাতীয় ধান চাষে রোগ পোকমাকরের আক্রমন কম ও অনান্য দেশীয়
জাতের ধানের তুলনাই বিঘা প্রতি ফলন ও বেশি হওয়ায় এবং উচু নিচু সকল প্রকার
জমিতে চাষ করা যায বলে চলতি বছরে এই অঞ্চলের কৃষকগন হাইব্রিট জাতের ব্রী-
ধান,জিরা শাইল ,সম্পদ এবং উপষী জাতের ব্রী-ধান ৫০,৪৮,৫৫,৫২বিনা ৭ ধান চাষের উপর
বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।