ক্রাইমরিপোর্টার নীলফামারী ॥
ধর্ষনের চেষ্টাকারী যুবলীগ নেতা হওয়ার কারনে চরম নিরাপত্তহীনতায় পড়েছে পরিবারটি।
নীলফামারীর ডিমলায় ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি
সহির উদ্দিন (৩৫) এক নববধুকে গত ২৯ মে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকার লোকজন
ধর্ষনের চেষ্টাকারী যুবলীগের নেতা সহির উদ্দিনকে আটক করলে যুবলীগ নেতার পবিরারের
লোকজন হামলা করেন। এতে নববধুর স্বামীসহ ৪জন আহত হয়েছেন।বর্তমানে ্ধসঢ়;ওই নববধু
চরম নিরাপত্তাহীনতার কারনে পুর্ব ছাতুনামা গ্রামে পিত্রালয়ে অবস্থান করছে।
সহির উদ্দিন আটকের সংবাদ পেয়ে ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি ৯নং ওয়াডের ইউপি সদস্য
সাইফুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য নুরল হক, সাবেক ইউপি সদস্য পুত্র গোলাম
রাব্বানীর উপস্থিতিতে যুবলীগ নেতার পরিবার ঐ পরিবারটি উপর হামলা চালায়। এ সময়
হামলা চালিয়ে ধর্ষনের চেষ্টাকারী সহির উদ্দিনকে জোরপুর্বক নিয়ে যায়।হামলায় নববধু
সুখি আক্তার(১৮), স্বামী জহুরুল ইসলাম (২২), শ্বশুড় ভাজন (৪৮) ও শ্বাশুড়ী সুখজান বেগম
(৪৫) গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পরে আহতদের দ্রুত ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছারপত্র
নিয়ে সুখি বেগম নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৫জনকে
আসামী করে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে যুবলীগের এ নেতা বুধবার রাতে তাকে
মারডাং ও টাকা ছিনতাই করার অভিযোগে ডিমলা থানায় ৫জনকে আসামী করে
অভিযোগ দিয়েছে।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতনাই গ্রামের আব্দুল মতিনের কন্যা সুখি
আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের পূর্ব ছাতুনামা গ্রামের মাজনের পুত্র জহুরুল ইসলামে
১ বছর পুর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে উক্ত যুবলীগ নেতা সুখি আক্তারকে বিভিন্ন
ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসত বলে মেয়েটি অভিযোগ করেন। আদালতে মামলা দায়েরের পর
নবপুত্রবধু সুখি আক্তার চরম নিরাপত্তাহীনতার কারনে পুর্ব ছাতুনামা গ্রামে পিত্রালয়ে
অবস্থান করছে।
সুখি আক্তার শুক্রবার সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার (২৯ মে) সকালে
আমি বাড়ীতে একাই পেয়ে সহির উদ্দিন আমাকে জোরকরে মুখে কাপড় বেধে রুমে
নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এ সময় আমার আত্বচিৎকারে আমার স্বামীসহ
শ্বশুড়বাড়ী লোকজন এসে সহির উদ্দিনকে আটক করে। এ সময় সহির উদ্দিনের পরিবার হামলা
চালালে স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ীসহ ৪জন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে যুবলীগের নেতা সহির
উদ্দিন বলেন, আমি ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি
হওয়ার কারনে একটি মহল আমাকে রাস্তায় আটক করে টাকা পয়সা ছিতনাই করে মারপিট
করেছেন। পাশ্ববর্তী নববধুকে ধর্ষনের চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করেন। ঝুনাগাছ
চাপানি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, সহির উদ্দিন ঝুনাগাছ
চাপানি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি। ধর্ষনের চেষ্টার বিষয়টি আমার জানা নেই
খোজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।