অনলাইন ডেস্কঃ
বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় আপন জুয়েলার্সের সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর গুলশান, মৌচাক, উত্তরা, ধানমণ্ডির পাঁচটি শোরুম থেকে এসব সোনা ও হীরা জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ ও জুয়েলার্স সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এখন এসব সোনা ও হীরা ঢাকা কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামের মাধ্যমে জমা দিতে নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে। এরপর আইনি প্রক্রিয়ায় জব্দ করা সোনা ও হীরা শুল্ক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে।
শুল্ক কর্মকর্তারা জানান, আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে তিনবার শুনানির সুযোগ দিলেও তাঁরা কোনো ধরনের বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। ফলে জব্দ করে নেওয়া হলো এসব সোনা ও হীরা।
গতকাল শনিবার রাতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানিয়েছিলেন, আজ সকাল ৯টায় ঢাকা কাস্টমস হাউসের মাধ্যমে জব্দ করা এসব সোনা ও হীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মইনুল খান আরো বলেন, ‘জব্দ করা সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণালংকারের সবই অবৈধ। আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে গত ২০ দিনেও এই স্বর্ণের বিষয়ে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বর্ণালংকারগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করা হবে।’
গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩.৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে জব্দ করে। পরে আইনি প্রক্রিয়ায় সেগুলো প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেওয়া হয়।
তবে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের দেওয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালংকার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেওয়া হয়েছে।