আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে উন্নত যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেকাংশে পিছিয়ে রয়েছে দমকল বাহিনী (ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স) এমনটি মনে করছেন সচেতন মহল। উন্নত যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে দমকল বাহিনীকে (ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স) আরো উন্নত করার দাবীও জানিয়েছেন সুধি সমাজ।
ঠাকুরগাঁও জেলায় অগ্নিকান্ড রোধ ও যেকোন দূর্ঘটনায় গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করে দমকল বাহিনী (ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স)। অথচ ঠাকুরগাঁওয়ে বড় কোন দূর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার জন্য উন্নত যন্ত্রাংশ নেই এই বাহিনীর সদস্যদের কাছে। কোন দূর্ঘটনায় কিছু পুরোনা যন্ত্রাংশ ও সাধারন মানুষের সহযোগিতা কোন মতে চলছে এই বাহিনীর কার্যক্রম।
গত ৩০ মে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সালন্দর এলাকায় ট্রাক ও অটোরিকশা মুখোমুখি দূর্ঘটনায় দুই নারী নিহত ও শিশুসহ ৮ জন গুরুত্বর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস তাৎনিক ভাবে দূর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে অংশ গ্রহন করেন। কিন্তু উন্নত যন্ত্রাংশের অভাবে উদ্ধার অভিযান চালাতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে বাহিনীর কর্মীদের। তবে কিছু সাধারন মান্ষু ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় হতাহতের সংখ্যা বেশি বাড়েনি বলে ফায়ার সার্ভিস দাবি করছেন। অপরদিকে অনেকেই অভিযোগ করছেন ফায়ার সার্ভিসের উন্নত প্রযুক্তি থাকলে এই ঘটনায় কোন প্রাণহানি ঘটতো না।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও শহরের লাবনী এ্যালমোনিয়াম স্টোর নামের একটি দোকানের পেছনের গুদামে আগুন লাগে। ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস এর পানি বহনের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌছার পরেই নষ্ট হয়ে যায়। পরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এত অসচেতন ফায়ার সার্ভিস এটা দেখে শহরের মানুষ ÿোভ প্রকাশ করেন।
সালন্দর এলাকার দূর্ঘটনায় নিহত এক নারীর স্বামী ইদু মোহাম্মদ জানান, ফায়ার সার্ভিস তাৎনিক ভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। কিন্তু উন্নত যন্ত্রাংশ যদি থাকতো আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে বাচাঁনো যেত। তাই ফায়ার সার্ভিস বাহিনীকে উন্নত প্রযুক্তিগত যন্ত্রাংশ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাই।
শহরের ব্যবসায়ি আলমগীর হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁও শহরে প্রায় ৩ লাধিক মানুষের বসবাস। যেকোন সময় অগ্নিকান্ড ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের পুরোনা একটি পানিবাহী গাড়ি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন সম্ভব হয় না। তাই উন্নত গাড়ি ও দ কর্মী হলে বড় দূর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করতে সহজ হবে এই বাহিনীর।
সমাজসেবক ইয়াসিন আলী জানান, আগে ফায়ার সার্ভিস শুধু অগ্নিকান্ড রোধে ভূমিকা পালন করতো। কিন্তু বর্তমানে সকল দূর্ঘটনায় এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। তাই উন্নত প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ও কর্মীদের দতা বৃদ্ধি করলে যেকোন দূর্ঘটনা মোকাবিলা করা সহজ হবে তাদের কাছে।
ঠাকুরগাঁও দমকল বাহিনী (ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স) এর উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, আমরা সকল দূর্ঘটনায় তাৎনিক ভাবে মোকাবিলা করছি। কিন্তু আমাদের অনেক কিছু ঘাটতি রয়েছে। ফলে অনেক সময় বড় দূর্ঘটনা পরিচালনা করতে উন্নত যন্ত্রাংশের জন্য হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমরা যদি বাহিরের দেশের মত উন্নত যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করার সুযোগ পাই তাহলে আরো উন্নত হবে এই বাহিনী।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, দেশ সকল দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সকল দূর্ঘটনায় দমকল বাহিনীর (ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স) অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ন। তাই ঠাকুরগাঁওয়ে এই বাহিনীকে উন্নত যন্ত্রাংশ ও নতুন প্রযুক্তিগত প্রশিনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে চাহিদা পাঠানো হবে।